আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, ভারতে তেল পাচার ঠেকাতেই বাধ্য হয়ে ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে কৃষকদের সেচখাতে ভর্তুকির বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেও জানান তিনি।
লন্ডন সফররত প্রতিমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এ কথা জানান তিনি। বিশ্ব বাজারে পরিস্থিতি ঠিক হলে দাম কমতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন নসরুল হামিদ।
এদিকে, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি। বেড়েছে এলপিজির দামও। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যপণ্য, বিশেষ করে কাঁচা শাক-সবজির দাম বাড়বে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বৈধ হয়নি।
প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে অপরিবর্তিত ছিল জ্বালানি পণ্য কেরোসিন ও ডিজেলের দাম। ২০১৬ সালে জ্বালানি পণ্য দু'টির দাম কমিয়ে লিটার প্রতি ৬৫ টাকা করে নির্ধারণ করেছিল সরকার।
তবে বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলার ছাড়িয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। এতে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে সরকারকে। হিসাব বলছে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ৭২৭ কোটি টাকা। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এদিকে হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম কার্যকর হওয়ায় পাম্পে এসে বিপাকে পড়েন অনেকেই। দাম বাড়ানোকে অবৈধ বলছে ক্যাব। তেলের বাড়তি দাম প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস-ট্রাক বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে এই খাতের মালিক ও শ্রমিকরা।
এদিকে, তেলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের অসন্তোষের মধ্যেই বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম। ১২ লিটারের সিলিন্ডার ৫৪ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এনটি