আওয়ার ইসলঅম ডেস্ক: হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদেরও কোনো নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশে সাম্প্রদায়িক হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন। রংপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা। আরো বিভিন্ন জায়গায় তারা এসব করছে। জনগণের দৃষ্টিকে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার থেকে সরানোর জন্য সরকার এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে’।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব বলেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সামগ্রিকভাবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যারা আছেন, তাদের ধর্ম পালনে উপাসনালয়গুলোরও নিরাপত্তা সরকার দিতে পারছে না। একই সঙ্গে দেশের ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী বৃহত্তর জনগোষ্ঠীরও কোনো নিরাপত্তা নেই। এটা পরিষ্কার যে, জনগণের সঙ্গে এই সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। যেহেতু তারা জনগণের ভোট পায় না, তাই ভোটের অধিকারের বিষয়টিকে তারা বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে ঢাকতে চায়’।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে তো নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি, পরিবেশ নেই। এখানে অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে গত দুটি টার্ম জোর করে ক্ষমতায় আছে। আমরা তখনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব, যখন নির্বাচনের সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হবে’।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা আবুল কাহের শামীম, আবদুল কাইয়ুম, মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
এনটি