আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঢাকার মাকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছেরীর এক আলোচনা সভা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। আলোচিত অনুষ্ঠানটি কক্সবাজারের হোটেল অস্টার ইকোতে গত ২০ অক্টোবর বুধবার অনুষ্ঠিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছেরীর ফেসবুক পেজে এক মিলিয়ন ফলোয়ার ও ইউটিউবে ১০০ কে সাবস্কাইব পূর্ণ হওয়ায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ পোস্টারটি ইতমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাই পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে চারদিকে।
হিজবুল্লাহ ইসহাকি তার ফেসুবকে লিখেছেন, হায়রে খোদা! আলেমের মান-মর্যাদা ও শান-শওকত জাহেলদেরকেও হার মানালো!
কলরবের মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান লিখেছেন, ওনারে থামানোর মত কেউ নাই, টাকা মানুষকে অন্ধ করে তুলে তার কিছুটা নমুনা। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আল্লাহ গরিমা কমিয়ে দিক। কর্মীদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার তাওফিক দান করুক।
রাকিবুল হাসান নাঈম লিখেছেন, আইডিয়াটা মন্দ না।
এহসান সিরাজ লিখেছেন, আজকে যারা সমালোচনা করছেন তারাই একদিন এমন অনুষ্ঠান করে বড়ো বড়ো বক্তা দাওয়াত দেবেন। সুতরাং কেউ সমালোচনা না করে নিজের ভিউয়ার বাড়াতে সচেষ্ট হোন!
আবুল বাসির নোমানী লিখেছেন, একটা নতুন অনুষ্ঠান উপহার দিতে অনেক কষ্ট করতে হয় আরও বড় কষ্ট লাগে যখন দেখি বড় মানুষ হয়েও না জেনে না বুঝে বোঝার চেষ্টা না করে আগেই নেতিবাচক মন্তব্য ছুড়ে দেয় এটা আসলেই কষ্ট লাগে
মন্তব্য করার আগে অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নিন তার উদ্দেশ্য কি অথবা ভিডিও ক্লিপ আছে একটু ধৈর্য ধরে শুনে নিন তারপর না হয় মন্তব্য করুন আপনাদের মত মানুষ গুলো না জেনে না বুঝে নেতিবাচক মন্তব্য করলে এই কষ্টগুলো রাখবো কোথায় সবশেষে ভালো যদি কিছু করে থাকে তাহলে আপনাদের থেকে আমরাও ভালো কিছু কমেন্ট আশা করি।
কাওসার আহমাদ শোয়াইব হাসনাহেনা নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে উনার এইসব পছন্দ করিনা অনেক আগ থেকেই সাথে আরেকটা আছে যেইটা কে নিয়ে কিছুদিন আগেও আপনি পোষ্ট করেছিলেন কাইয়ুম মোল্লা কে, এগুলো হল নেক ছুরত নিয়ে ধান্ধাবাজি করে, তবে কখন আমার পোষ্টের মাধ্যমে তা প্রকাশ করি নাই, মাঝে মাঝে যখন আপনার কিছু পোষ্টের সাথে আমার মনে ভাব গুলো উঠে আসে তখন মন খুলে কমেন্ট বক্সে এসে একটু মনের দুঃখ শেয়ার করি
হুসাইন আহমদ কাসেমী লিখেছেন, নেছার আন নাছিরীকে কি বাধা দেওয়ার কেউ ছিলোনা? ওনার কি হক্কানী কোন আলেমের সাথে সম্পর্ক নাই? কাইয়ুম মোল্লার ঘটনাটা তাদের জন্য অনেক বড় সতর্ক বার্তা ছিলো। কিন্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলোনা। এখন টের পাবে। কুরআনের খাদেম নামের এসব প্রতারকদের মূখোশ এভাবেই উন্মোচিত হয়।
এ বিষয়ে শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছেরীর সঙ্গে আওয়ার ইসলাম থেকে অনেকবার ফোন করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে কক্সবাজারের হোটেল অস্টার ইকোতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা কক্সবাজার জেলা বাছাই পর্বের ফাইনাল অনুষ্ঠানের পরেই শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছেরীর এ আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন সেখানে উপস্থিতিদের একজন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চট্রগ্রাম প্রাইইভেট মাদরাসার চেয়ারম্যান ও হুফ্ফাজুল কুরআনের সাবেক সভাপতি হাফেজ তৈয়ব, কক্সবাজারের ঈদগাহ মসজিদের খতিব মুফতি সোলেমান কাসেমী, একাধিকবার আন্তর্জাতিক পুরুস্কারপ্রাপ্ত হাফেজ কারী মাওলানা রফিক আহমাদ উসমানী, একাধিকবার আন্তর্জাতিক পুরুষ্কার প্রাপ্ত হাফেজ কারী মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ,
নীলা মাদরাসার প্রিন্সিপাল আফসার উদ্দিন, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী আসহাব উদ্দিন আল আজাদ, হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলার সেক্রেটারী হাফেজ কারী মাওলানা জামাল উদ্দিন, হুফ্ফাজুল কুরআন সংস্থার সেক্রেটারি হাফেজ কারী মাওলানা ইউনুস ফরাজি, তালিমুল কুরআন মডেল মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা কারী ইব্রাহিম রোহানসহ কক্সবাজারে হাফেজ কারী আলেমগণ।
-এটি