আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিপজ্জনক রোগজীবাণু সম্পর্কে নবগঠিত উপদেষ্টা গোষ্ঠী কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নির্ধারণের শেষ সুযোগ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) তারা এ কথা বলেছে। পাশাপাশি প্রথমদিকের করোনা রোগীদের তথ্য সরবরাহের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। খবর বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের কেন্দ্রীয় শহর উহানে সর্বপ্রথম মানবদেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়েছিল। চীন বারবার এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে যে, ভাইরাসটি তাদের একটি ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তারা এটাও বলছে যে, সেখানে পর্যবেক্ষণ করার জন্য কারো যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ডব্লিউএইচও-এর নেতৃত্বাধীন একটি দল উহান ও আশেপাশের অঞ্চলে চার সপ্তাহ কাটিয়েছে। পরবর্তীতে মার্চ মাসে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানায় যে, ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড় থেকে অন্য প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। তবুও আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
ডব্লিউএইচও-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসাস বলেছেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিনগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের অভাবের কারণে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তাই নতুন করে ল্যাব পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার ডব্লিউএইচও তাদের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গোষ্ঠী দ্য অরিজিন অফ নোভেল প্যাথোজেনসের (সাগো) জন্য ২৬ জন সদস্যের নাম প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যারিয়ন কুপম্যানস, থিয়া ফিশার, হাং এনগুয়েন এবং চীনা প্রাণী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইয়াং ইয়ুঙ্গুই। এই কয়জন উহানে যৌথ তদন্তে অংশ নিয়েছিলেন।
করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত নেতৃত্বে থাকা মারিয়া ভ্যান কেরখোভ আশা প্রকাশ করেছেন, চীনে ডব্লিউএইচও-এর নেতৃত্বে আরও আন্তর্জাতিক মিশন থাকবে যেগুলো বেইজিংয়ের সহযোগিতায় হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভাইরাসটি কীভাবে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশ করেছে তা নির্ধারণের জন্য তিন ডজনেরও বেশি সুপারিশকৃত অধ্যয়ন এখনো চালিয়ে যেতে হবে।
ডব্লিউএইচও-এর শীর্ষ জরুরি বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেন, নবগঠিত উপদেষ্টা গোষ্ঠীই সম্ভবত কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নির্ধারণের শেষ সুযোগ হতে পারে।
-এএ