আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তানে থাকা নাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিল আমেরিকা এবং ব্রিটেন। রাজধানী কাবুলের বিভিন্ন হোটেলে আমেরিকান এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের যেতে নিষেধ করেছে দুই দেশ।
আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে বলা হয়েছে, ‘সেরেনা হোটেলের কাছে বা সেরেনা হোটেলে যেসব আমেরিকার নাগরিক রয়েছেন তাদের দ্রুত অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’
‘নিরাপত্তার কারণে’ এই ঘোষণা বলে জানিয়েছে আমেরিকা। এদিকে ব্রিটিশ নাগরকিদের আফগানিস্তানে আসতে মানা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ছে। ব্রিটিশ নাগরকিদের উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন কোনো হোটেলে না থাকেন। বিশেষ করে কাবুলে, সেরেনার মতো অভিজাত হোটেলে।’
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে হয়েছে একের পর এক বিস্ফোরণ। তার জেরেই আমেরিকা এবং ব্রিটেনের এই সতর্কবার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকে দু'পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় উঠে আসলেও তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানদের করোনার টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গেছে। আলোচনায় আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ ফেরত দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। এ ছাড়া আফগানিস্তানে কখনোই নির্বাচন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে তালেবান। এ লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় দু'দিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছে তালেবানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। শনিবার বৈঠকের প্রথম দিনে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ ফেরত দিতে ও ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে তালেবান।
আফগানিস্তানে সন্ত্রাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ না করলেও আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ওয়াশিংটনের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। এরই মধ্যে, আফগানিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের নিরাপদে দেশ ছাড়ার বিষয়টিও উঠে আসে। আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোল্লা আমির খান মুত্তাকি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ক্ষমতাসীন সরকারকে অস্থিতিশীল না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালেবান। এমনকি বৈঠকে ২০২০ সালে তালেবান-ওয়াশিংটন শান্তিচুক্তি পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে তালেবান সরকারের প্রতি নমনীয় হয়েছে ভারত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, আফগানিস্তানের মানুষ জানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কে তাদের ভালো বন্ধু।
-এটি