।।কাউসার লাবীব।।
আসন্ন ৪৫তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা উপলক্ষে ইবতেদায়ী, মুতাওয়াসসিতাহ, সানাবিয়া উলয়া ও ফজিলতের নেসাব সংক্ষিপ্ত করেছে দেশের কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।
আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত ইবতেদায়ী জামাতের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস হলো-
বাংলা ৫ম: গদ্য ও পদ্য ১নং-১৮নং (পৃষ্ঠা ৭ থেকে ৬০ পর্যন্ত)
ব্যাকরণ ৫ম: পৃষ্ঠা ৬-৪০ পর্যন্ত। রচনা- প্রথম ১২টি। পত্র/দরখাস্ত- বইয়ে যা আছে
গণিত: প্রশ্নমালা ১ থেকে ১৬ ও জ্যামিতির অধ্যায়।
ভূগোল ও সমাজ: অধ্যায় ১ম-৬ষ্ঠ পর্যন্ত (৫৪ পৃষ্ঠা পর্যন্ত)
ইতিহাস পাঠ: পৃষ্ঠা ৭-৪৮ (দেওবন্দ আন্দোলনের পূর্ব পর্যন্ত)
এছাড়া অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা নিবন্ধন বহিতে বর্ণিত নিসাব অনুযায়ী হবে।
বেফাকের এ ঘোষিত ইবতেদায়ী জামাতের নেসাবটি কীভাবে দেখছেন মাদরাসার দায়িত্বশীলগণ। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে রাজধানীর জান্নাতুল নাঈম মহিলা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কামাল উদ্দীন-এর স্মরণাপন্ন হলে তিনি জানান, বর্তমান সময় অনুযায়ী বেফাকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার পদক্ষেপটিকে স্বাগত জানাতে হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কিছু স্বস্তি পাবে।
তিনি বলেন, মাদরাসায় যেহেতু আরবি বিষয়গুলোর প্রতি মূল দৃষ্টি দেয়া হয়; তাই এ বিষয়গুলো সংক্ষেপ না করার বিষয় খুব ভালো হয়েছে। এছাড়া আশার করছি জেনারেল বিষয়গুলোতে যে সংক্ষিপ্ত রূপ আনা হয়েছে; এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় কোনো ঘাটতি আসবে না। এবং হাতে থাকা সময় অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে।
অপরদিকে রাজধানীর জামিয়া সাঈদিয়া কারিমিয়া’র শিক্ষক মুফতি আব্দুল্লাহ কাসেমী বলছেন, যেসব মাদরাসা আনুষ্ঠানিকভাবে মাদরাসা খোলার ঘোষণা দেয়ার আগেই অনলাইনে ছাত্রদেরকে বছরের শুরু থেকে দরস দিয়ে আসছেন; তাদের জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার তেমন প্রয়োজন ছিল না। তবে অল্পকিছু মাদরাসা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর দরস শুরু করেছেন। তারা নিশ্চয়ই কিছু সময় কম পাবেন। তাদের জন্য সিলেবাস সামান্য সংক্ষিপ্ত করণ দরকার ছিল। বেফাক সেটি করেছে। বলবো, সব মিলিয়ে বেফাকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার বিষয়টি ভালো উদ্যোগ।
জেনারেল বিষয়গুলোতে সংক্ষিপ্ততা আনার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হবে কি না জানতে চাইলে মুফতি আব্দুল্লাহ কাসেমী বলেন, জেনারেল বিষয়ে তো এমনভাবে সংক্ষিপ্ত রূপ আনা হয়নি যে, ছাত্ররা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তবে কোনো ছাত্র-ছাত্রীর যদি সে বিষয়গুলো পূর্ণ জানার আগ্রহ বা ইচ্ছে থাকে তাহলে পরবর্তী ফ্রি সমসয়গুলো কাজে লাগিয়ে তা করা সম্ভব।
-কেএল