আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সম্প্রতি অনেকে বেশ জোরালোভাবে কওমী মাদরাসার শিক্ষা সিলেবাস পরিবর্তনের দাবি তুলছেন। আবার অনেকে বলছেন, স্কুলের দশম শ্রেণী পর্যন্ত সবগুলো বই মাদরাসার সিলেবাসভুক্ত করতে হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে মাদরাসা সিলেবাসভুক্ত কিছু কিতাব বাদ দিতে হবে। সিলেবাসভুক্ত কিতাবগুলোর মধ্যেও আমূল সংস্কার করতে হবে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু উচ্চ শিক্ষার বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার কাঠামোর উপর তাই প্রাথমিক শিক্ষার ভিত নড়বড়ে হয়ে গেলে উচ্চ শিক্ষা বাধাগ্রস্থ হওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে।
সুতরাং মাদরাসার সিলেবাস সংস্কার করলে সেই ভয়ানক আশংকার সম্মুখীন হতে হয় কি না বা শিক্ষার্থীরা ফল লাভে সক্ষম হবে কি না এ ব্যাপারে আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাই।
উত্তর: মেরে মুহতারাম! নেসাবের বিষয়টি অতি সংবেদনশীল। এরপর এটি বাস্তব অভিজ্ঞতার বিষয়। শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা কিংবা নিছক পর্যালোচনা মূলক বহস এক্ষেত্রে মোটেই ফলদায়ক নয়। এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা বড়দের কর্তব্য। আর একটি পর্যায় পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা অব্যাহতও রেখেছেন। আলাহ তাআলা কল্যাণের পথ সুগম করুন এবং সকল প্রকার কল্যাণ আমাদেরকে দান করুন।
এ বিষয়ে আপনার আগ্রহ থাকলে আকাবিরের কিছু কিতাব অধ্যয়ন করতে পারেন। যথা- মুফতী যায়েদ মাজাহেরী সংকলিত ‘মুখতালিফ উলূম ওয়া ফুনুন কা নিসাব’ (আয ইফাদাতে হাকীমুল উম্মত রহ.)।
‘হামারা তা’লীমী নেজাম’ হযরত মাওলানা মুহাম্মদ তকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম, ‘দ্বীনী মাদারেস, নিসাব ওয়া নিজামে তা’লীম আওর আসরী তাকাযে’ সংকলনে মাওলানা ডা. হাফেয হাক্কানী মিয়াঁ কাদেরী। এতে ১৯৬৮ সালে দিল্লীতে এবং ১৯৯০ খৃষ্টাব্দে রাঁচী ও দিল্লীতে অনুষ্ঠিত সেমিনারের কার্যবিবরণী, প্রবন্ধ ও আলোচনা সংকলিত হয়েছে। সূত্র- মাসিক আলকাউসার।
-কেএল