আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা উঠতে পারবেন। আর ১৬ অক্টোবর থেকে স্বশরীরে ক্লাস পরীক্ষা নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ এবং ৩য় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা আগামী ১০ অক্টোবর থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন। উল্লিখিত বর্ষের যেসকল শিক্ষার্থী অন্তত: ‘কোভিড-১৯’-এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি এবং এসওপি অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে নিজ নিজ হলে সকাল ৮টা থেকে প্রবেশ করতে পারবেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রাপ্তির জন্য আগামী ৭ অক্টোবর টিএসসিতে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। যেসকল শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা এই কেন্দ্র থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দ্রুত এনআইডি করতে পারবেন।
এরআগে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল। মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলে শুধু স্নাতক শেষ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তরের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উঠতে পারছিলেন। তবে নতুন সিদ্ধান্তের কারণে অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠার বাধা কাটল।
শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন করেছিল হল প্রশাসন। ১৮ মাস পর হলে উঠতে পেরে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় একে অপরের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এসময় শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে হল গেটে প্রাধ্যক্ষ ও হলের হাউজটিউটরদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তারা শিক্ষার্থীদের ফুল, মিষ্টি ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘সকাল সকাল হলে উঠতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে। হলের স্যাররাও অনেক আন্তরিক। দীর্ঘদিন পর হলে আসলাম। কতটা আনন্দ লাগছে বুঝাতে পারব না।’ স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শোভন হোসেন বলেন, ‘অসাধারণ অনুভূতি। আমরা দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। এখানে এসে মনে হচ্ছে আমরা পুনরায় জীবিত হলাম। আমাদের জীবনের যে কলরব ছিল তা আবার ফিরে পেয়েছি।’
এদিকে, শিক্ষার্থীদের বরণ করতে পেরে বেশ আনন্দিত হলের প্রাধ্যক্ষ ও হলের আবাসিক শিক্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই হল খুলে দেওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের বরণ করতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের কলরবে আবার সরব হয়ে উঠবে ক্যাম্পাস।
-এটি