আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর বিধানসভা আসনের এই উপনির্বাচনের ফলই তার ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল। মুখ্যমন্ত্রী থাকতে তার আর বাধা নেই।
৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে তিনি জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভবানীপুরে ভোট গণনা হয় এলগিন রোডের শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলে। গণনা হয় ২১ রাউন্ড। গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামে হেরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ টিকিয়ে রাখতে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে লড়েন তিনি। ভোট গ্রহণ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়।
যদিও জয়ের ব্যাপারে মমতা ও তার দল নির্ভার ছিল, তারপরও এই ভোটের ফলেই নির্ভর করেছে অনেক কিছু। মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে জয় ছাড়া তার কাছে কোনো বিকল্প ছিল না।
বিধানসভার মূল নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে কোনো আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হতে হতো তাকে। মমতার বিরুদ্ধে ভবানীপুরে বিজেপির হয়ে লড়াই করেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের সামান্য বেশি। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮,৭১৯ ভোটের ব্যবধানে। এপ্রিলের নির্বাচনের তুলনায় সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে কিছুটা কম ভোট পড়লেও ভবানীপুরে এর আগের উপনির্বাচনের তুলনায় কিন্তু অনেকটা বেশি ভোট পড়েছে এ বার। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। তাতে ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।
ভবানীপুরে এবার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছিল আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। ঘটনাচক্রে, তিনিও পেশায় আইনজীবী।
এনটি