আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার থেকে সৌদি আরবে আর ভিক্ষা করা যাবে না। ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কঠোর আইন পাস করল দেশটি। এখন থেকে দেশটিতে কেউ ভিক্ষা করলে তার ১ বছর পর্যন্ত জেল ও ১ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা হতে পারে।
সম্প্রতি সৌদি আরবের মন্ত্রীপরিষদ এই আইনের অনুমোদন দিয়ে বলেছে, সৌদি আরবে এরপর থেকে যদি কেউ ভিক্ষা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সরকার।
নতুন এই আইন থেকে নিস্তার পাবে না বিদেশি নাগরিকরাও। এই প্রসঙ্গে সৌদির নতুন আইনে বলা হয়েছে, বিদেশি নাগরিকদের কেউ ভিক্ষা করলে তাকে সাজা ভোগের পরই স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং একবার তিনি যদি দেশে ফিরে যান তাহলে তাকে আর কখনোই ওয়ার্কিং ভিসা দেবে না সৌদি। তবে বিদেশি কোনও ভিক্ষুকের যদি কোনও সৌদি নারীর সঙ্গে বিবাহ হয় তাহলে তার সন্তানকে স্বদেশে রাখার অনুমতি দিয়েছে সৌদি।
শুধু তাই নয় ভিক্ষুকদের ব্যবস্থাপনায় জড়িত থাকলে অথবা তাদের সংগঠিত করলে কঠোর সাজার মুখোমুখি হতে হবে। সেক্ষেত্রে কেউ কাউকে ভিক্ষাবৃত্তিতে সাহায্য বা উৎসাহিত করলে ছয় মাস পর্যন্ত জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এছাড়া, ভিক্ষাবৃত্তির অপরাধে কেউ একাধিকবার গ্রেফতার হলে আরও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এ আইন কার্যকরের ভার দেওয়া হয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৌদি আরবে ভিখারি কিংবা ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সৌদি আরবের মানব সম্পদ এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, শুধুমাত্র ২০১৮ সালেই দেশটিতে ২৭১০ জন ভিখারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ২১৪০ জন নারী এবং বাকি ৫৭০জন ছিলেন পুরুষ। এরপরই এই দেশ ভিক্ষাবৃত্তি দমনে নড়েচড়ে বসেছে এবং তারই ফলাফল এই নতুন আইন।
-এটি