শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ইসলামী আন্দোলনের উপর উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে যা বললেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: “যুবক আলেমদের সাথে এক মতবিনিময়” সভার আয়োজেন করা হয়েছিল ইসলামী যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে। এই মতবিনিময় সভায় ইসলামী আন্দোলনের আমীর ও নায়েবে আমীর উপস্থিত আলেমদের সু-চিন্তিত মতামত শুনেন এবং উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এসময় যুবক আলেমদের পক্ষ কাসেমী নাম ব্যবহার করা না করার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আমরা কওমি, আলিয়া সব মাদ্রাসায় পড়েছি। পড়াশোনার জন্য যখন আমি দেওবন্দে যাই। ভিসা জটিলতার কারণে দেরিতে গিয়ে পৌঁছি। গিয়ে দেখি সেখানে দাখিলা পরীক্ষা শেষ। এরপর সেখান থেকে আমি ফিরে আসতে চাইলে সাথীরা আমাকে বলেন, আপনি তো সার্টিফিকেট-এর জন্য আসেননি, পড়াশোনার জন্য এসেছেন। এরপর আমি দেওবন্দে থেকে যাই এবং পুরো বছর কোনঘণ্টামিস করিনি, বিশেষত মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী রহ.-এর ঘণ্টায় সব সময় উপস্থিত থাকতাম।

তিনি বলেন, সময় এবং ভিসা-জটিলতায় দেরিতে উপস্থিত হওয়ার কারণে যেহেতু আমি দাখিলা নিতে পারিনি তাই নামের শুরুতে আমি কাসেমী ব্যবহার করি না। তবে আমার সাথীদের মধ্যে যারা আমার সাথে ছিলেন তারা অনেকেই আমার নামের সাথে কাসেমী ব্যবহার করেন, এ বিষয়টিতে আমি তাদের উদ্বুদ্ধও করি না এবং নিষেধও করি না।

নামের সাথে মুফতি উপাধি ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা রাজনীতি করি, এখানে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর আমরা হাদিস ও ফিকহের বিষয়ে কামিল ফার্স্ট ক্লাস, তাই এই উপাধি আমরা মিথ্যা লিখিনা, যথাযথই লিখি বলে জানান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করেন আমীরুল মুজাহিদীন লেখা যাবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, অনেকের নাম রাখা হয় হিজবুল্লাহ, প্রশ্ন হল এই নাম রাখা যাবে কিনা?

তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ দ্বারা কুরআনে মুসলমানদের একটি দল বুঝানো হয়েছে। তেমনি মুজাহিদীন একটি দল বা কাফেলাকে বুঝানোর জন্য রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, নফস ও শয়তানের সাথে যারা সার্বক্ষণিক জিহাদ করেন তাদেরকে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুজাহিদ বলছেন। এ প্রেক্ষিতে মুজাহিদীন নাম রাখা যাবে কিনা আপনি নিজে বলুন?- বলে প্রশ্ন তুলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমাদের পুস্তকে লিখা আছে নফস এবং শয়তানের বিরুদ্ধে সার্বক্ষণিক যুদ্ধ করার কথা, তাই সেই হিসেবে আমি মুজাহিদীন একটি কাফেলার নাম। এখানে কিতাল বা গাইরে কিতাল উদ্দেশ্য করে এ নাম রাখা হয়নি।

মতবিনিময় সভার প্রশ্ন-উত্তর পর্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমালোচনা ও পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে সামনে অগ্রসর হতে চায়।

ভিডিও:

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ