আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও আটকে দিয়েছে ওয়াশিংটন। যত দ্রুত সম্ভব এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে চীন।
আফগান ইস্যুতে গতকাল বুধবার জি২০ সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন। সেখানেই এই দাবি করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তাতে বলা হয়, ভার্চুয়াল বৈঠকে আফগানিস্তানের ওপর আরোপিত সকল অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার অবশ্যই অবসানের কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কাবুলের জাতীয় সম্পদ, যার মালিক আফগানরা। এই রিজার্ভ আফগানদেরই ব্যবহার করতে দিতে হবে।
এ ছাড়া কাবুলের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ দিতে বৈদেশিক রিজার্ভকে হাতিয়ার বানানো যাবে না। আন্তর্জাতিক কোনো ফোরামে আফগান রিজার্ভ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো এমন কড়া ভাষা ব্যবহার করলো চীন। এর আগে কেবল তালেবানের পাশে থাকার কথা জানিয়েছিল দেশটি।
গত মাসের মাঝামাছি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত বিপুল আফগান রিজার্ভ আটকে দেয় বাইডেন প্রশাসন। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১ হাজার কোটি ডলার এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ মজুত রয়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভে, যা ফ্রিজ করে দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আফগানিস্তানে দেয়া বিদেশি সহায়তাও আটকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও জাতিসংঘ। অর্থ সংকটে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে দেশটিতে। এর ফলে সেখানে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, চলতি মাসের শুরুর দিকে সরকার গঠন করে তালেবান। এই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ না নিলেও এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। নতুন আফগান সরকারকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ। তবে তাদের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান, চীন, কাতার, তুরস্ক, ইরানসহ বেশ কিছু দেশ।
-এটি