আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হলগুলোতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালনের বাধ্যবাধকতা আরোপের মধ্য দিয়ে খুলতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়- জাবি ক্যাম্পাস।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক হলে থেকেই শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে অংশ নেবেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে ক্যাম্পাসে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ স্থাপনের কাজ।
দীর্ঘ ১৮ মাস পর জাবি ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই তোড়জোড়ে কাজ শুরু করেছে জাবি প্রশাসন। ইতোমধ্যেই আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন অনুষদের ভেতর-বাইরে সংস্কারকাজ শেষপর্যায়ে। বিভিন্ন ভবনের ফটকগুলোর সামনে স্থাপন করা হচ্ছে হাত ধোয়ার বেসিন। বিশাল এ ক্যাম্পাসে গজিয়ে ওঠা ঝোপঝাড়গুলো ইতোমধ্যেই কেটেছেটে পরিষ্কার করছেন দিনমজুররা।
নির্মাণশ্রমিক ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে তাই আমরা রিপিয়ারিং কাজ করছি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ সালাম-বরকত হলের এ প্রভোস্ট আলী আজম তালুকদার জানান, ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার আগে প্রভোস্ট মিটিংয়ে কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষার চাইতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে প্রশাসন। কোভিড টিকা, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন, মাস্ক ব্যবহারসহ কোয়ারেনটাইনেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যেহেতু ছিল না অনেক দিন তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। করোনা মোকাবিলা করার জন্য যা যা প্রয়োজন প্রভোস্ট মিটিংয়ে বিশ্লেষণ করে আমরা সেইভাবে কাজে হাত দিয়েছি। হোম কোয়ারেন্টাইন তো না, হলের মধ্যে আমরা ১০ বা দুই সপ্তাহ রেখে এটা করতে পারি। তারপর শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত হয়ে গেল তারা ক্লাসে যাওযার জন্য।
-এএ