আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তানে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনের (উনামা) মেয়াদ আরও ছয়মাস বাড়ানো হয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল এর অনুমোদন দিয়েছে। গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো এই ঘোষণা এলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতিসংঘের এই ঘোষণার মাধ্যমে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীনরা স্বস্তি পাবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জনগণ মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে। পাজওয়ক ডটকম।
খবরে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে চলমান জাতিসংঘ মিশনের ব্যাপারে সংস্থার মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কৌশলগত ও কার্যক্রমের সুপারিশের বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। গতকাল শুক্রবার এক বৈঠকে নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১৫ সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা আফগানিস্তানে মিশনের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন।
আগামী বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের ফলে এটা স্পষ্ট হল, আফগানিস্তানের শাস্তি ও স্থিতিশীলতায় জাতিসংঘ তার অবদান অব্যাহত রাখবে।
ওই বৈঠকে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা সরবরাহ জোরদার করার ব্যাপারেও বিশ্বনেতারা একমত হন। নিরাপত্তা কাউন্সিল বলছে, মানবিক সহায়তা কার্যকরভাবে বিতরণের জন্য তালেবান সরকারকে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাসহ সব পক্ষকেই পূর্ণ, নিরাপদ এবং বাধাহীন প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
বৈঠকে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ দমনের ব্যাপারেও কথা ওঠে। এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে ১৯৯৯, ২০১১ ও ২০১৫ সালে গৃহীত ধারাগুলোর ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়।
৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানে সরকার গঠন করে তালেবান। তবে সরকার গঠিত হলেও দেশের জনগণ মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকার পড়েছে অর্থ সঙ্কটে। কাবুলের ব্যাংকগুলোর সামনে গ্রাহকরা বহুক্ষণ অপেক্ষা করেও টাকা হাতে পাচ্ছেন না।
বহুমুখী সংকটের মধ্যেই তালেবান নেতারা বিদেশিদের প্রতি অর্থ সহায়তা কামনা করেছেন। ইরান ইতোমধ্যে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ত্রাণবাহী বিমান কাবুলে পাঠিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসের এক আহ্বানে দাতা গোষ্ঠী আফগানিস্তানে বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। প্রতিবেশী ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও চীন আফগানিস্তানে সহায়তা জোরদারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
-এটি