আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কাবুলে ইউরোপীয় দেশগুলোর এই জোট কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখবে।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এ কথা জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ বোরেল বলেন, আফগানিস্তানের নতুন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার মাধ্যমেই কেবল দেশটির ভবিষ্যৎ উন্নয়নে প্রভাব রাখা সম্ভব।
জোসেফ বোরেল বলেন, ‘আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর সেখানে ইইউর সদস্যদেশগুলো দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। তারা এখনই সেগুলো খুলছে না। তবে দেশটিতে ইইউর কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের উপস্থিতি থাকবে। আমরা কোনো রাষ্ট্র না হওয়ায় সেখানে দূতাবাস খুলতে পারছি না।’
জোসেফ বোরেল বলেন, ‘তালেবান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট শর্তাবলি পূরণ হলে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল পাঠানো হবে। ভিডিও কনফারেন্স বা বার্তা আদান-প্রদানের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠ পন্থায় এ আলোচনা হতে পারে।’
সাবেক স্প্যানিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোরেল বলেন, ইইউ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না, তবে আফগানিস্তানের নতুন এ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করার আছে।
খবরে বলা হয়, তালেবানের সঙ্গে এখন যোগাযোগ শুরুর শর্ত নিরূপণ করছে ইইউ। শর্তের মধ্যে আফগানিস্তানে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টিও থাকবে।
জোসেফ বোরেল বলেন, ‘আফগানিস্তানে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে যদি কোনো পথ খোলা থাকে তবে সেটি হলো, তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করা। এর বিকল্প পথ নেই। যোগাযোগ রক্ষা করার অর্থ, আলাপ-আলোচনা ও সম্ভব ক্ষেত্রে একমত হওয়া। ’
-এএ