আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কারাগার থেকে যে ছয়জন ফিলিস্তিনি পালিয়েছিল তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে ইসরায়েল। গত সপ্তাহে উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান ওই ছয় ফিলিস্তিনি। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ইতিহাসে এটি অন্যতম একটি দুঃসাহসিক ঘটনা।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের জেনিন শহরের সুরক্ষিত গিলবোয়া কারাগার থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়ে যান ছয় ফিলিস্তিনি বন্দি। ইসরায়েলের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম গিলবোয়া কারাগার। এটি এতটাই সুরক্ষিত যে, সেটিকে ইসরায়েলের ‘সিন্দুক’ বলা হয়।
বন্দিদের খুঁজে বের করতে পশ্চিত তীরে ব্যাপক অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরে শুক্রবার দু'জনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, মাহমুদ আরাদেহ ও ইয়াকুব কাদেরি নামে দুই ফিলিস্তিনি বন্দিকে আটক করেছেন তারা। ইসরায়েলি পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, তাদেরকে নাজরাথের খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থান মাউন্ট প্রিসিপিস থেকে আটক করা হয়েছে।
পরবর্তীতে আরও দু'জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে একজন খ্যাতনামা সাবেক জঙ্গি নেতা বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় ইসরায়েলের নাজারেথের বাইরে একটি লরি পার্ক থেকে তাকে আটক করা হয়। সর্বশেষ আটক দুই ফিলিস্তিনি বন্দি হলেন জাকারিয়া জুবেইদি (৪৬) এবং মোহাম্মদ আরদাহ (৩৯)।
পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলনের সশস্ত্র শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জাকারিয়া। অপরদিকে ইসলামি জিহাদি সশস্ত্র শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মোহাম্মদ আরদাহকে ২০০২ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ট্রাক রাখার একটি পার্কিং লটে তারা লুকিয়ে ছিলেন। পালিয়ে যাওয়া বাকি দুই বন্দির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এনটি