আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সারাহ নামে এক ইসরায়েলি তরুণী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খবর আরব নিউজের।
ইসরায়েলে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের বধ্যতামূলকভাবে ৩ বছর এবং নারীদের দুই বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়।
যুদ্ধে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ না থাকায় ইসরায়েলি যুবকদেরকে হুমকি দিয়ে দেশটির সরকার বলেছেন, যুদ্ধে না যেতে চাইলে তাদের জেলখানায় যেতে হবে ।
দেশটির কাফর ইয়োনা শহর থেকে বাসে করে তেলআবিবের উপকণ্ঠ তেলহাশোমার এলাকার একটি সেনা ক্যাম্পে যান ১৮ বছরে পা দেওয়া ইসরায়েলি তরুণী সারাহ।
সেখানকার সেনা কর্মকর্তারা আশা করছিলেন সারাহ আগামী দুই বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে কাজ করবেন।
প্রথম চার মাস তাকে এখানে রাইফেল চালনা শেখানো হবে এবং এরপর তাকে দেশটির সীমান্তে কাজ করা সেনাবাহিনীর প্রথম সারিতে নিযুক্ত করা হবে।
এ কথা জানতে পেরে তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। কারণ, এক্ষেত্রে তাকে সীমান্তে নিরাপরাধ ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করতে হতে পারে।
এছাড়া, জোর করে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর দখল করে সেখানে ইহুদি বসতি গড়ারও বিরোধী সারাহ।
তিনি সেখানকার প্রধান কর্মকর্তাকে বলেন, ইসরায়েলের বর্ণবাদী আচরণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং দখলদার নীতি তার পছন্দ না। এ জন্য তিনি ফিলিস্তিনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়াবে না।
এ কথা শুনে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করে জেলে পাঠানো হয়।
তাকে প্রাথমিকভাবে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসেন, তাহলে তাকে আবারও কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এনটি