আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অধিকাংশ সরকারি কর্মীর জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ মোকাবেলার নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের নতুন এ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সরকারি কর্মী টিকার আওতায় আসবেন। এ নীতিমালার আওতায় এখন থেকে বড় কোম্পানিগুলোকেও (যাদের কর্মী সংখ্যা একশর বেশি) হয় কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, নয়তো প্রতি সপ্তাহে শনাক্তকরণ পরীক্ষায় পাঠাতে হবে। যদি এ নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়, তবে প্রতিটি ঘটনার জন্য ১৪ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বাইডেন বলেন, আমরা ধৈর্য ধরে ছিলাম। কিন্তু সেই ধৈর্য হালকা হয়ে এসেছে। আপনাদের টিকাদানে অস্বীকৃতির কারণে আমাদের সবাইকে মূল্য দিতে হচ্ছে।
মার্কিনিদের টিকা নিতে উৎসাহিত করে বাইডেন প্রশাসনের ব্যাপক প্রচারণা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত দেশটিতে টিকা পাওয়ার উপযুক্তদের ৬২ শতাংশ টিকার সব ডোজ নিয়েছেন, জানিয়েছে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
বাইডেনের নতুন পরিকল্পনায় হাসপাতাল এবং দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক কোটি ৭০ লাখের বেশি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকেও টিকাদানের আওতায় আনতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন এর আগে যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তাতে টিকা নিতে অনিচ্ছুক সরকারি কর্মীদের নিয়মিত তাদের শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল জমা দিতে হতো।
এবারের নির্দেশনায় ব্যতিক্রমরা বাদে টিকা নেননি এমন সব সরকারি কর্মীকে ৭৫ দিনের মধ্যে টিকা নিতে হবে, নয়তো চাকরিচ্যুতির মুখোমুখি হতে হবে।
সরকারি কর্মীদের ইউনিয়নগুলো বাধ্যতামূলক টিকার এই নীতিমালা মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এদিন তার ঘোষিত নতুন নীতিমালাকে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসনের সবচেয়ে ‘আগ্রাসী পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
-এএ