আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে নিলেও দেশটির পানশির প্রদেশ নিয়ে তীব্র লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয় তালেবানকে। সোমবার পানশির নিয়ন্ত্রণের পরেই আফগানিস্তানে সরকার গঠনের প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান।
নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জবিরুল্লা মুজাহিদ।
সোমবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত তালেবানের আমন্ত্রণ তালিকায় নাম নেই ভারতের। যদিও কিছু দিন আগেই তালেবান সরকারের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে চান তারা। আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। নয়াদিল্লিকে সেই অবস্থান বদলের আহ্বান জানিয়েছে তালেবান।
তালেবান নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধের কারণে সরকার গঠনে বিলম্ব হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুজাহিদ বলেন, এটি সম্পূর্ণ গুজব। কোনো প্রকার বিরোধ নয় বরং কৌশলগত কিছু কারণে এই বিলম্ব হচ্ছে। শিগগিরই সরকার গঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। যুদ্ধ শেষে এক স্থিতিশীল আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠিত হবে। আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে যারাই অস্ত্র হাতে নেবে, তাদেরকে দেশ ও দেশের জনগণের শত্রু হিসেবে গণ্য করা হবে।
গত ৩০ অগাস্ট আফগানিস্তান ছেড়েছে মার্কিন সেনা। এর আগে ১৫ আগস্ট তালেবান রাজধানী কাবুলের মধ্য দিয়ে দেশটির ৩৪ প্রদেশের ৩৩টি দখল করে নেয়। শেষ সীমান্ত প্রদেশ পানশির এখন তালেবানের দখলে।
এনটি