আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতের ছত্তিসগড়ের রাজধানী রায়পুরের ভাটগাঁও এলাকায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে একটি থানার ভেতরে খ্রিস্টান পুরোহিতকে মারধর করেছে ডানপন্থী হিন্দু জনতা। গতকাল (রোববার) রায়পুরের পুরাতন বস্তি থানায় ওই ঘটনা ঘটেছে।
ওই পাদ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে ক্ষুব্ধ জনতা ও পাদ্রীর সাথে থাকা লোকদের মধ্যে থানা চত্বরে হাতাহাতি হয়। এর আগে ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা ধর্মান্তর করানো খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে থানা ঘেরাও করে। ভাটাগাঁও এলাকার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কিছু অন্যান্য সদস্যের সাথে পাদ্রীর আগমনের ফলে জনতা এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা ব্যক্তিদের তীব্র মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পুলিশ এ সময়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে।
অভিযোগকারী নেতারা থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ধর্ম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং তারা পাদ্রী ও তাঁর সমর্থকদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
পাদ্রীকে থানা কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কর্মকর্তারা বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা পাদ্রীর উপরে আক্রমণ করে। এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই ঘটনার একটি ভিডিওতে প্রকাশ, কিছু ব্যক্তি পাদ্রীকে জুতা দিয়ে আঘাত করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শহর) তারকেশ্বর প্যাটেল বলেন, ‘আমরা আগে কোনো অভিযোগ পাইনি। দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির সময় থানার কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এখন আমরা অভিযোগ (ধর্মান্তর) খতিয়ে দেখছি। আমরা এতে যা পাব তার ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
ছত্তিশগড় ক্রিশ্চিয়ান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুশ বারিয়েকারের দাবিতে পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে সম্ভব শাহ, শুভঙ্কর দ্বিবেদী, মণীশ সাহু, সঞ্জয় সিং, বিকাশ মিত্তল, অনুরোধ শর্মা ও শুভম আগরওয়ালকে অভিযুক্ত করেছে।
বারিয়েকার পুলিশকে জানান, যাজক হরিশ সাহু এবং প্রকাশ মসিহ থানায় হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এনটি