জুলফিকার জাহিদ।।
গায়ক থেকে ইসলামি সংগীত শিল্পী হয়ে ওঠা সবার প্রিয় জুনায়েদ জামশেদের ৫৭ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। কুরআন তেলাওয়াত-ঈসালে সওয়াবের মাধ্যমে জুনায়েদ জামশেদের জন্মবার্ষিকী পালন করেছেন ভক্তরা।
জুনায়েদ জামশেদ ৩ সেপ্টেম্বর করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন।
নব্বই দশকে যখন তিনি ভাইটাল সাইন্স মিউজিকাল গ্রুপ গঠন করেছিলেন তখন প্রত্যেক যুবকের ঠোঁটে তার সংগীতের চর্চা ছিল।
[caption id="" align="aligncenter" width="456"] এ বইটিসহ মাকতাবাতুত তাকওয়ার প্রকাশিত বইগুলো কিনতে ছবিতে ক্লিক করুন।[/caption]
বিভিন্ন সংগীত গেয়ে যখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন ঠিক এমন সময়ে শোবিজ অঙ্গনকে বিদায় জানিয়ে ইসলামি সংগীত শিল্পী হিসেবে নতুনভাবে শুরু করেন তিনি নিজের ক্যারিয়ার।
জুনায়েদ জামশেদের নতুন এই জীবন তাকে দেশের বাইরে উপমহাদেশ ও বিশ্ব দরবারে এনে দেয় তুমুল জনপ্রিয়তা। আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্ব ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনের জন্য সব অঙ্গনেই প্রভাব বিস্তার করে নিয়েছিলেন জুনায়েদ জামশেদ।
জুনায়েদ জামশেদের ‘গাওয়া এলাহী তেরি চৌকাঠ পাড়, মুহাম্মাদ কা রওজা, মেরা দিল বাদাল দে’ সংগীতগুলো শ্রোতাদের মাঝে এতো জনপ্রিয় যে অনেকেই তাকে ইসলামি ইসলামি সংগীত শিল্পী হিসেবেই চেনেন।
শোবিজ অঙ্গনের কথিত আলো ঝলমলে জগত ছেড়ে ধর্মের পথে ফিরে আসার পর জুনায়েদ জামশেদ শোবিজ অঙ্গনে তারকাদের মাঝে আগের তুলনায় আরো বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তিনি যখন বয়ান করতেন সবাই মুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনতেন। তিনি বিভিন্ন শহর গ্রাম ও দেশে ঘুরে ঘুরে মানুষকে ইসলামের পথে আহবান করতেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাওয়াতে তাবলিগের কাজেই মগ্ন ছিলেন।
[caption id="" align="aligncenter" width="414"] এ বইটিসহ মাকতাবাতুত তাকওয়ার প্রকাশিত বইগুলো কিনতে ছবিতে ক্লিক করুন।[/caption]
২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর তাবলীগ জামাতের কাজ থেকে ফেরার পথে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান জুনায়েদ জামশেদ। তবে তার কন্ঠ-কর্মকাণ্ডে আজও লাখো হৃদয়ে বেঁচে আছেন জুনায়েদ জামশেদ।
সূত্র: সামা নিউজ, আব তাক
এনটি