আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা করোনার টিকা পাবেন। জান্তা সরকারের মুখপাত্র ঝাও মিন তুন জানিয়েছেন, সেখানকার রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে অচিরেই করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হবে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
ঝাও মিন তুন জানান, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগের হার বাড়াতে তারা সচেষ্ট। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ভ্যাকসিন কর্মসূচি থেকে কেউ বাদ পড়বেন না। বিশেষ করে, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলা মংডু ও বুচিডংয়ে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদেরও করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাস দমনের নামে চালানো সেনা অভিযানের মুখে লাখো রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। মিয়ানমার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, নাগরিক হিসাবে সেখানে তাদেরকে পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে ঝাও মিন তুন তাদের বাঙ্গালী হিসেবে উল্লেখ করেন। অবশ্য, মিয়ানমারের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বাঙ্গালী বলার চল কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। তাদের অনেকের মতে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নন, বরং বাংলাদেশ থেকে আসা অনাহূত অভিবাসী।
কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে ঝাও মিন তুন বলেন, রোহিঙ্গারাও মিয়ানমারের মধ্যেই বসবাস করছেন। তারা কাউকে পেছনে ফেলে রাখবেন না।
অন্যদিকে, এখনো স্পষ্ট নয় রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে এই ভ্যাকসিন কিভাবে পৌঁছাবে। পাশাপাশি, ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কী কী নথির প্রয়োজন হবে, তাও জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই মিয়ানমার সরকার জানিয়েছিল তাদের করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচির পরিকল্পনায় রোহিঙ্গাদের কোনো স্থান নেই। কয়েকদিনের মধ্যেই জান্তা সরকার তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসলো।
এমডব্লিউ/