আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনাসদস্য প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৩১ আগস্ট। এর মধ্যেই নিজ দেশের সেনা ও নাগরিকদের পাশাপাশি হুমকির মুখে থাকা আফগানদেরও দেশটি থেকে সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তবে এমন পরিস্থিতিতেও আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার অভিযান সমাপ্ত করল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও স্পেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কাবুল থেকে যাত্রীদের নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পৌঁছায় নিউজিল্যান্ডের একটি ফ্লাইট। আফগানিস্তান ছেড়েছেন দেশটির সব সেনাসদস্য। এই মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দরে নিউজিল্যান্ডের আর কোনো নাগরিক অবস্থান করছেন না। তবে কাবুল শহরে কয়েকজন এখনো রয়ে গেছেন। তারা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আফগানিস্তানে আর কোনো উড়োজাহাজ পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
আফগানিস্তান থেকে লোকজন সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম গুটানোর ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটনও। শুক্রবার তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সেনাসদস্যরা কাবুল থেকে চার হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন। সফলভাবে এ অভিযান শেষ করায় সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এদিকে আজ সকালে কাবুল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পৌঁছেছে স্পেনের দুটি ফ্লাইট। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে হুমকির মুখে থাকা আফগান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে স্পেন সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তান ত্যাগ করা স্পেনের শেষ দুটি ফ্লাইটে সেনাসদস্যসহ স্পেনের ৮১ নাগরিক ছিলেন। পাশাপাশি পর্তুগালের ৪ সেনা ও ৮৫ আফগানও ছিলেন বলে জানানো হয়েছে সরকারি ওই বিবৃতিতে। এ নিয়ে ১ হাজার ৯০০ জনকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিল দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে চূড়ান্ত ধাপে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র বাহিনীর সেনাসদস্যদের প্রত্যাহার করা হবে। একই সময়সীমার মধ্যে দেশটিতে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিক ও ২০ বছরের যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বধীন বাহিনীকে সহায়তা করা আফগানদেরও নিরাপদে নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করে পশ্চিমা দেশগুলো। সূত্র: সিএনএন, এএফপি।
এমডব্লিউ/