মোস্তফা ওয়াদুদ।।
‘মনে বড়ো আশা ছিলো যাব মদীনায়/সালাম আমি করবো গিয়ে নবীজীর রওজায়।
আরব সাগর পাড়ি দিবো, নাইকো আমার তরি/পাখি নই যে উঁড়ে যাব ডানাতে ভর করি।
আমার আশায় আছে সম্বলও নাই, করি কী উপায়/মনে বড়ো আশা ছিলো যাব মদীনায়।
কাফেলাতে কে যাও তুমি, কে যাও বেয়ে তরি/আমায় যাও না ওভাই সঙ্গে নিয়ে, খানিক কৃপা করি।
সঙ্গে যদি না লও মোরে, গিয়ে মদীনায়/এই গরিবের সালাম দিও, মদীনার বাদশায়।’
কত মানুষের মনে আশা থাকে প্রিয় নবীর সা. রওজায় গিয়ে সালাম দিবেন! নবীর সা. জিয়ারাত লাভে ধন্য হবেন। কিন্তু সে সুযোগ আর হয়ে উঠে না। এমন মানুষের সংখ্যা অনেকই। যারা সব সময় মনে মনে ইচ্ছা রাখেন নবীর সা. রওজা জিয়ারাত করবেন। কিন্তু কোনো উপায় খোঁজে পান না। তাদের জন্য কী উপায়? তারা প্রিয় নবী সা. এর কবর জিয়ারাত করার জন্য কি আমল করবেন? অথবা এমন কোনো আমল আছে কী? যা করলে রাসূলের সা. জিয়ারাত লাভ হতে পারে?
দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এমনই একটি প্রশ্ন করেন জনৈক ব্যক্তি। তিনি তার প্রশ্নে উল্লেখ করে বলেন, ‘এমন কোনো আমল বলে দিন, যাতে প্রিয় ন বী সা. এর জিয়ারাত মোবারক নসীব হয়।’
এমন প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘সব আমলের মাঝে ইত্তেবায়ে রাসূল সা. বা রাসূল সা. এর সুন্নাতের অনুসরণ করার প্রতি খুব মনোযোগী হবে। বেশি বেশি রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরুদ শরীফ পড়বে। ইনশাআল্লাহ! হয়তো কোনো একদিন প্রিয় নবীর সা. জিয়ারাত নসীব হয়ে যাবে। তবে এ আমলের মাধ্যমে নাজাত লাভ হবে না।’
এমডব্লিউ/