শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

গুনাহ করবো না, এমন ওয়াদার পর ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদদ: ‘ওগো প্রভু ভুল হয়ে গেছে আমার, গুনাহ করবো না আর।’ ছন্দে ছন্দে এমন দোয়া-মুনাজাত অনেকেই করে। কিন্তু সবশেষে সেও করে ফেলেন সে একই অপরাধ। নিজেকে পারেন না টিকিয়ে রাখতে। পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। আর কোনো ওয়াদা করে ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হয়। প্রশ্ন হল, গুনাহ করবো না-এমন ওয়াদা করার পর যদি ভঙ্গ হয়, তাহলে তারও কি কাফফারা দিতে হবে? কি বলছে দারুল উলুম দেওবন্দ? এ বিষয়ে জানবো আজকের মাসআলায়।

আরও পড়ুন: একই মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখা ও কুরআন পড়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

আরও পড়ুন: নন-মাহরাম পুরুষের জন্য নারীদের পড়ানোর বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

আরও পড়ুন: অন্য কেউ মৃত ব্যক্তির ছবি প্রচার করলে মরহুমের গোনাহ হবে কী? দেওবন্দের ফতোয়া

দেওবন্দের ওয়েবসাইট এমনই একটি প্রশ্ন করেছেন জনৈক ব্যক্তি। তিনি তার প্রশ্নে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি আমার দোয়া-মুনাজাতের মাঝে অন্তর থেকে বলেছিলাম, ‘হে আল্লাহ! আমি এই গুনাহ আর কখনো করবো না। এখন থেকে এই গুনাহকে একেবারেই ছেড়ে দিব।’

কথাটি আমি আমার অন্তর থেকেই অত্যন্ত শক্তপোক্তভাবে ওয়াদা করে বলেছি। কিন্তু পরিশেষে আমি আর আমার সে কথার উপর অটল থাকতে পারিনি। আমি আবারও সে একই গুনাহ করে ফেলেছি। তো এখন কি আমার সে ওয়াদার কাফফারা দিতে হবে?

আরও পড়ুন: সরকার শরীয়তবিরোধী কাজ করলে সতর্ক করার উত্তম পদ্ধতি বিষয়ে দেওবন্দের পরামর্শ

আরও পড়ুন: একই মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখা ও কুরআন পড়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

আরও পড়ুন: মহিলাদের খোলা মুখে ইউটিউবে দীনের দাওয়াত দেয়া বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘এটা হল একনিষ্ঠ ও খাঁটি তওবা। গুনাহ না করার জন্য নিজের ইচ্ছাকে পাকাপোক্ত করার শব্দ। কসম করার শব্দ এমন নয়। কেননা কসম এর ক্ষেত্রে সরাসরি আল্লাহর নাম ব্যবহার হয়। এখানে আল্লাহকে ডাকার (ইয়া আল্লাহ) অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

অতএব যদি শারীরিক চাহিদার কারণে দ্বিতীয়বার তার থেকে গুনাহ হয়ে যায়, যার ব্যাপারে সে কঠিন তাওবা করেছিল। তাহলে সেটার কারণে কসমের কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

অবশ্য এখন দ্বিতীয়বার খাঁটি তওবা করবে ও ভবিষ্যতে এই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে। এমনকি এ গুনাহ থেকে দূরে থাকার ক্ষেত্রে কোন রকমের গাফিলতি বা শীতলতা প্রদর্শন করবে না। আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দান করুক। আর আল্লাহই ভালো জানেন।’

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ