মোস্তফা ওয়াদুদ: করোনা মহামারির কারণে দেয়া লকডাউন শিথিল করে বেশ কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে বিশ্বের কয়েকটি দেশ। একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকার আওতায় আনতে যাচ্ছে দেশগুলো।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ। এর মাঝে রয়েছে অস্ট্রিয়া,মলদোভা, কসোভো, আলবেনিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে কানাডাও। সবশেষ আজ দক্ষিণ আফ্রিকাও খুলে দেয় সে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আজ সোমবার (২৬ জুলাই) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা সেদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি জানান।
এর আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী করোনা থাকলেও দীর্ঘ এ সময়ে কখনোই বন্ধ করা হয়নি জার্মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব সময়ই চালু ছিলো সে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম। তবে দেশের একাংশের কিছু স্কুল সাময়িকের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছিলো।
এদিকে আজকের ভাষণে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে সীমিত আকারে সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বেশ কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের সহযোগিতা করতে হবে। তা না হলে সরকার যে উদ্দেশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কোনো কাজে আসবে না।’
এই সময়ে রাষ্ট্রপতি সোমবার থেকে লকডাউন লেভেল তিন ঘোষণা করেন। এতে বলা হয়, রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। রাত ৯টার মধ্যে রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। মসজিদ, চার্চসহ ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক মানুষ উপস্থিত হওয়া যাবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে ৫০ জন ও খোলা মাঠে ১০০ জনের জনসমাগম করা যাবে।
করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা বিষয়ক অগ্রগতি নিয়ে রামাফোসা তার বক্তব্যে বলেন, ‘সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন শুরু হবে। অক্টোবর থেকে কেপটাউনে ফাইজারের ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হবে।’
এমডব্লিউ/