আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতে উত্তরপ্রদেশের পর এবার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী আসাম সরকারও। তার জন্য এক হাজার ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সেনা’ নামাতে চলেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা খোদ সোমবার বিধানসভায় এমন ঘোষণা করেছেন। তবে নমনী আসাম, যেখানে মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বাস, সেখানেই এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্যই রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কার্যত বিস্ফোরণের আকার ধারণ করেছে বলে আগেও দাবি করেছিলেন হিমন্ত। তার সমাধান হিসেবে স্বেচ্ছায় নির্বীজকরণ এবং দুই সন্তান নীতি চালু করার কথাও শোনা গিয়েছিল তার মুখে। সোমবার বিধানসভায় তিনি বলেন, ‘চর চপোরি এলাকায় ১ হাজার যুবককে নিয়ে গঠিত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সেনা নামানো হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবেন তারা। এলাকাবাসীর হাতে গর্ভনিরোধক তুলে দেবেন।’ আশা কর্মীদেরও এই কাজে নামানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আত্মসমীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন হিমন্ত। তাদের জন্যই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। সোমবার তিনি বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আসামে হিন্দু জনসংখ্যা যদি ১০ শতাংশ বেড়ে থাকে, মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ২৯ শতাংশ। সংখ্যায় কম বলেই হিন্দুদের জীবনযাত্রার মান উন্নত। খোলামেলা বাড়ি, গাড়ি রয়েছে হিন্দুদের। তাদের ছেলেমেয়েরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হন।’
তবে মুসলিম জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটছে বলে দাবি করলেও, তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে দেখা যায়নি হিমন্তকে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এনটি