আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ করোনা বিপর্যয়ের মুখে সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদুল আজহার দিন কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। সবাইকে বাড়িতেই ঈদের নামাজ আদায়ের অনুরোধ করা হয়েছে।
শুক্রবার জাকার্তা পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি, সেখানে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্যে ইমার্জেন্সি পাবলিক অ্যাকটিভি রেসট্রিকশনস (পিপিকেএম দারুরত) আরোপ করা হয়েছে।
সেসব অঞ্চলে ঈদের দিনও বিধি-নিষেধ কার্যকর থাকবে। পিপিকেএম দারুরত অঞ্চলে বসবাসকারীরা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াতসহ জনসমাগম হয় এমন কোনো উদযাপনে অংশ নিতে পারবেন না।
ঈদুল আজহার দিন কসাইখানাগুলোতে পশু কোরবানি দেওয়া হবে। কসাইখানায় জায়গা না থাকলে খোলা মাঠে এটি করা যেতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে জনসাধারণের জমায়েত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
দেশটির ধর্মমন্ত্রী ইয়াকুত চোলিল কৌমাস সবাইকে বাড়িতেই ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান জানান। বাসিন্দাদের নিজ নিজ এলাকা ছেড়ে না যাওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।
এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জনগণের স্বার্থেই বলে উল্লেখ করেন ইয়াকুত চোলিল কৌমাস।
গত ৩ জুলাই থেকে বালি ও জাভাতে পিপিকেএম দারুরত কার্যকর করা হয়। পরে করোনা সংক্রমণ বাড়লে ইন্দোনেশিয়া সরকার অন্যান্য শহরেও এটি কার্যকর করে।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে এক হাজার ২০৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৫৪ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এনটি