মোস্তফা ওয়াদুদ: মানুষ মরে যায়, রেখে যায় স্মৃতি। জীবনে যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যান, তারাই মরেও অমর থেকে যান। আর নেটিজেনরাও তাদের নিয়েই গর্ব করেন। তুলে ধরেন তাদের কারনামা। সাদা কাগজের পাতায় কালো কালো হরফে বর্ণনা করেন তাদের মহাকীর্তি।
আরও পড়ুন: সরকার শরীয়তবিরোধী কাজ করলে সতর্ক করার উত্তম পদ্ধতি বিষয়ে দেওবন্দের পরামর্শ
তবে প্রযুক্তির এ সহজ মাধ্যমে এখন কিছুটা পরিবর্তন এসেছে মানুষের কর্ম তুলে ধরার ক্ষেত্রে। আগে যেখানে কাগজের পাতায় কালো কালিতে লেখা থাকত জীবনের সাফল্যগাঁথা। সেখানে এখন স্কিন কিংবা ক্যামেরার লেন্সেও তুলে ধরা হয় মানুষের সাফল্যের ইতিবৃত্ত। সেই সাথে সফলকাম কিংবা সফলতা অর্জনকারী ব্যক্তির ছবি যোগ করেন ভক্তকূল।
সাফল্যমন্ডিত ব্যক্তির সাফল্যগাঁথা তিনি জীবিত থাকতেও মানুষ গেয়েছেন। মৃত্যুর পরেও গেয়ে চলেছেন। সেই সাথে সোশ্যাল সাইট কিংবা স্কিনযুক্ত যে কোনো মাধ্যমে শেয়ার করছেন তার ছবি। তার সাথে ঘটে যাওয়া আনন্দঘন মুহূর্তের কোন ভিডিও।তাদের স্মরণীয় করে রাখতে আরো কতকিছুই করেন তারা। সোশ্যাল সাইট কিংবা স্কিনে মৃতব্যক্তির এই ছবি শেয়ার করার কারণে ওই ব্যক্তির আমলনামায় কি কোন কোন গুনাহ পৌঁছাবে?
আরও পড়ুন: একই মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখা ও কুরআন পড়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া
এমন একটি প্রশ্নই দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে করেন জনৈক ব্যক্তি। তিনি তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘যে কিছু লোক ফেসবুকে মৃত ব্যক্তিদের ছবি অথবা ভিডিও শেয়ার করেন। এর মাঝে তো কোন সন্দেহ নেই যে, যিনি শেয়ার করেন তিনি গুনাহগার হবেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, এই ছবি শেয়ার করার কারণে মৃত ব্যক্তিরও কি কোন গোনাহ হবে?’
আরও পড়ুন: মহিলাদের খোলা মুখে ইউটিউবে দীনের দাওয়াত দেয়া বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া
জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘ছবি তোলার ক্ষেত্রে যদি ওই মৃত ব্যক্তির নিজের কোনো অংশীদারিত্ব না থাকে তাহলে মৃত্যুর পর সে ছবি অথবা ভিডিও শেয়ার করার দ্বারা মৃত ব্যক্তির গুনাহ হবে না।
দেওবন্দের ওয়েবসাইটে বর্ণিত ফতোয়ার লিঙ্ক: https://darulifta-deoband.com/home/ur/halal-haram/605572
এমডব্লিউ/