আবদুল্লাহ তামিম।। দাড়ি রাখা সকল মুসলমানের বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য। দাড়ির দৈর্ঘ্যের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ হচ্ছে দাড়ি সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া অর্থাৎ বড় হতে দেয়া। সাহাবাগণেরাও দাড়ি পূর্ণ ও বড় রাখতেন।
ভারতের ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের অনলাইন ফতোয়ার সাইটে এক স্কুল পড়ুয়া ভাই প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, আমার বয়স ১৫। নবম শ্রেণিতে পড়ি। আমি আলহামদুলিল্লাহ একজন হাফিজে কুরআন। আমি নামাজ পড়াই। এখন আমার দাড়িও ওঠছে। আমার সহপাঠী ও স্কুল শিক্ষকরা আমাদের দাড়ি কাটতে বারবার বলতে থাকে।
কিন্তু আমি একজন হাফেজে কুরআন। আমি নামাজ পড়াই। আমার দ্বারা দাড়ি কাটা সম্ভব নয়। এদিকে স্কুল থেকেও আমাকে বাধ্য করছে, আমার সহপাঠীরা উপহাস করছে। এ পরিস্থিতিতে আমি কি করবো? সঠিক সমাধান দিয়ে আমাকে বাধিত করবেন।
দারুল উলুম দেওবন্দ উত্তর নং: 605517 এ প্রশ্নের উত্তরে বলে, স্কুল শিক্ষকদের নির্দেশে দাড়ি শেভ করা বা ছাঁটাই করা জায়েয নয়। বরং এটি
কবিরা গুনাহের কাজ। আল্লাহ না করুন। আপনি যদি দাড়ি কাটেন বা শেভ করেন, আপনার পিছনে নামাজ আদায় করা মাকরূহ তাহরিমি হবে।
হাদিস শরিফে হজরত আয়েশা রা. বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলে পাক সা. ইরশাদ করেছেন, ‘দশটি বিষয় সকল নবি-রাসূলগণের সুন্নাত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা অন্যতম।’ (সহিহ মুসলিম শরীফ: ১/১২৯) এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে নবির সুন্নাত হিসেবে দাড়ি রাখার গুরুত্ব অনেক।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল সা. ইরশাদ করেন, ‘মুশরিকদের বিরোধিতা করো, দাড়ি লম্বা কর, আর গোঁফ ছোট কর।’ (সহিহ বুখারি শরিফ- ২/৮৭৫, সহিহ মুসলিম: হাদীস নং ৬২৫)
আবার, দাড়ি রাখাকে অনেকে ফরজ বলে দাবি করেন এই বিষয়কেও অগ্রাহ্য করা যায় না। কারণ নবী কারীম সা. যা করতেন এবং যা বলতেন তার সবকিছুই মহান আল্লাহর তরফ থেকে নির্ধারিত ছিল। মহান আল্লাহ আদেশ ব্যাতীত তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতেন না আর নিলেও তা পবিত্র আল কোরআনের ভিত্তিতে যেখানে আল্লাহর বাণী দেয়া আছে।
-এটি