কাওসার আইয়ুব
অনলাইনে অর্থবিনিময়ের মাধ্যম ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন। একটি ভার্চুয়াল সাংকেতিক মুদ্রা। এটা লেনদেন হয় ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলের মাধ্যমে। এর লেনদেনের জন্য কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংকের প্রয়োজন হয় না।
ফলে একে নিয়ন্ত্রণের কোনও সংস্থা পৃথিবীতে নেই। এটিকে যেমন অনেকেই সুবিধা বলে বিবেচনা করে, তেমনই এটিই এ মুদ্রা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংশয়।
বিটকয়েনের চাহিদা এবং মূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ছে। অস্বাভাবিক হারে এই বিনিময় মূল্য বাড়ার কোনও কারণ জানা নেই খোদ ব্যবহারকারীদেরও। তারপরও একটি গোষ্ঠী দিন দিন ঝুঁকছে এই ভার্চুয়াল মুদ্রা বিনিময়ের পেছনে। ‘ইলিক্টনিক মানি’ এর লেনদেন ইসলামি কী বলে।
জামিয়াতুল উলূম আল-ইসলামিয়া আল্লামা মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরি টাউন, করাচি, পাকিস্থান এর ফতওয়া বিভাগে এক ব্যক্তি এ সম্পর্কে জানতে চায়। তার উত্তরে মুফতি সাহেব ১৪৪২১০২০০২৯৩ নং: ফতোয় বলেনে, ডিজিটাল মুদ্রা নিছক একটি কল্পনিক মুদ্রা, আসল মুদ্রারর সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আসল মুদ্রার বৈশিষ্ট্য এবং শর্তাদি ও প্রকৃতি কিছুই এ ডিজিটাল মুদ্রা এর সাথে নাই। সুতরাং বর্তমান যুগে ইন্টারনেটে ও ইলেকট্রনিক মার্কেটে ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ কেনা-বেচার যে ব্যবসা চালো আছে তা হালাল নয়।
‘ইলেকট্রনিক মানি’ এর প্রচলন মূলত একটি ছলচাতুরী। এতে কোনো বস্তুগত জিনিস নেই। নেই কোনো দায়িত্বভার। টাকার নামে অ্যাকাউন্টে কিছু সংখ্যা ছাড়া আর কিছু নেই। শুধুমাত্র কিছু সংখার আসা যাওয়া। এতে জুয়ার মতো ধোঁকা আছে।
তাই ইলেকট্রনিক মানি কেনা-বেচা করা, এ ব্যবসায় বিনিয়োগ করা বা এতে জড়িত থাকা কোনটাই জায়েয নয়। (আল্লাহই ভাল জানেন)
কেননা ইসলাম কখনো দুদল্যমান ও প্রতারণা পূর্ণ অর্থব্যবস্থার দিকে জাতিকে ঠেলে দিতে সায় দেয় না।
-এটি