আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে গত ২৪ জুন মধ্যরাতে ধসে পড়া ১২ তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আরও আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করার পর এখন পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে। খবর ডেইলি সাবাহর।
দমকল বাহিনী ও উদ্ধারকারী দলের একজন মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, উদ্ধারকারী ও তল্লাশি দলগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধারে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে মিয়ামি-ডাডের মেয়র ড্যানিয়েল লেভিন-কাভা জানিয়েছিলেন, ভবনধসের মুহূর্তে বহুতল ওই ভবনটিতে আসলে কতো মানুষের বসবাস ছিল- সেটি পরিষ্কার নয়।
ভবনটি ধসে পড়ায় ওই কমপ্লেক্সের ১৩০টি ইউনিটের অর্ধেক তছনছ হয়ে গেছে। তবে ভবনধসের কারণ এখনও জানা যায়নি। সার্ফসাইড শহরে এই ভবনটি নির্মাণ হয়েছিল ১৯৮০ সালে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইডের ভবনধসের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা। এই ভবনের মূল নকশায় ত্রুটি ছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে প্রকৌশলীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ত্রুটির কারণে ভবনের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
পুলিশ বলেছে, ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ধসের সময় ঠিক কতজন ভবনে উপস্থিত ছিল, তা পরিষ্কার নয়।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই ভবনের কিছু অংশ সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এই ভবনের পাশেই আরেকটি ভবন সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে ভবনটি ধসে গেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রায় তিন বছর আগে ওই ভবনের অবকাঠামোসংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এতে বলা হয়, ভবনের পার্কিংয়ে ফাটল রয়েছে। এ ছাড়া ভবনের পুলের নিচের স্ল্যাবেও ত্রুটি রয়েছে। আর ভবনের ছাদ সংস্কারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সম্প্রতি।
এ ত্রুটি নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস। এ ছাড়া সার্ফসাইড শহরের ওয়েবসাইটেও এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের বেশ কিছু নথি প্রকাশ করা হয়। সিএনএনের খবরে দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ভবনের দুটি ইউনিটের বেলকনির স্ল্যাবে ফাটল ধরেছে।
এনটি