আন্দামান নওশাদ: জন্মদানের পর সন্তানের নামে আকিকা করা বাবার জন্য সুন্নত। আর সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। এখন কেউ যদি একই পশুতে এক ভাগ কোরবানির জন্য, আরেকভাগ আকিকার জন্য করে তাহলে এই বিষয়টিকে কীভাবে দেখে শরীয়ত? দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে জনৈক ব্যক্তি এমনই একটি প্রশ্ন করেন।
তিনি তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, গরু অথবা উটে সাত ভাগে কোরবানি করা যায়। তন্মধ্যে কোরবানির অংশের সাথে কি আকিকার অংশ মিলোনো যেতে পারে?
আমার জানার বিষয় হলো, ‘এরকম করাটা ইমাম আজম আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি কিভাবে প্রমান করলেন? অথবা হানাফী মাজহাবে এরকম করাটা কে প্রমাণ করেছে? যেখানে এটা লেখা আছে আমাকে দয়া করে তার হাওয়ালা দিন।
অন্যথায় হাদিসের মাঝে আমি এমন কোন শব্দ পাইনি-যেখানে এটা স্পষ্ট আছে যে, সাতভাগের প্রাণীতে কয়েকভাগ কোরবানির জন্য আর কয়েকভাগ আকিকার জন্য হতে পারে।’
এ প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দ থেকে বলা হয় যে, ‘সাতভাগের প্রাণী যেমন গরু, উট ইত্যাদিতে কোন ব্যক্তি কোরবানীর নিয়তে শরীক হলো। আবার কোনো ব্যক্তি নিজের বাচ্চার আকিকার নিয়তে অংশগ্রহণ করলো তাহলে এভাবে একটি প্রাণীর মধ্যে উভয়ের অংশগ্রহণ সঠিক ও বৈধ।
দলীল: ফতোয়ায় শামীতে আছে, لأن المقصود من الکل القربة، وکذا لو أراد بعضہم العقیقة عن ولد قد ولد لہ من قبل لأن ذلک جہة التقرب بالشکر علی نعمة الولد
(যদি সবকিছুর (পশুর জবাই) দ্বারা নৈকট্য অর্জন উদ্দেশ্য হয়। এমনিভাবে যদি কোন ব্যক্তি তার অনেক পূর্বে জন্ম নেওয়া সন্তানের আকিকা করতে চান, আর তার উদ্দেশ্য হয় আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করা ও নৈকট্যতা অর্জন করা, তাহলে সে এরকম আকিকা করতে পারবে। (ফতোয়ায়ে শামী, মাকতাবায়ে যাকারিয়া, খণ্ড নং-৯, পৃষ্ঠা নং- ৪৭২)
এমডব্লিউ/