শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


হিন্দুত্ববাদী সরকারই অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়: ওয়াইসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘হিন্দু-মুসলিম ঐক‌্যই প্রধান… কিন্তু গো-রক্ষার কারণে যারা গণরোষ তৈরি করে আক্রমণ করছেন, তারা হিন্দুত্ব থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন।’ রোববার মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের অনুষ্ঠানে এমনই বক্তব্য রেখেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত। সোমবার তারই পাল্টা দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। টুইটে একের পর এক বার্তায় মোহন ভাগবতের সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি।

এদিন একের পর এক টুইট বার্তায় ওয়াইসি বলেন, এই ধরনের অপরাধীরা গরু ও মহিষের পার্থক্য করতে না পারলেও, কারোর নাম দেখেই তাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। এরপরই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়া কিংবা এই ধরনের অপরাধীদের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগও তোলেন। এখানেই শেষ নয়, গণপিটুনির ঘটনার জন্য সরাসরি মোদি সরকারকেই দায়ী করেন।

ওয়াইসি লেখেন, ‘আরএসএসের মোহন ভাগবত বলেছেন, গণপিটুনির সাথে যুক্তরা আসলে হিন্দুত্ববিরোধী। এই ধরনের অপরাধীরা গরু এবং মহিষের পার্থক্য জানে না। এদের খুন করার সময় জুনেইদ, আখলাখ, পেহলু, আলিমুদ্দিন নামগুলো দেখলেই হলো। এই হিংসা হিন্দুত্বের জন্যই ছড়িয়েছে। এই অপরাধীদের হিন্দুত্ববাদী সরকারই আশ্রয় দিয়েছে।’

পরবর্তীতে আরো দুটি টুইটে এআইএমআইএম প্রধান লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলিমুদ্দিনের খুনির হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন, আখলাখকে হত্যাকারীর লাশের উপর তেরঙ্গা পতাকা থাকে, আসিফকে যে মেরেছে তার সমর্থনে মহাপঞ্চায়েত বসে।

সেখানে আবার বিজেপির মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কী খুনও করতে পারব না? ভীরুতা, হিংসা এবং খুন করা-এই তিনটে জিনিসই গডসের হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারার অংশ। মুসলমানদের গণপিটুনির ঘটনা এই ভাবনারই ফসল।’

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ