আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রশ্ন: করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের আর্থিক সংকট ও দারিদ্রতার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর কোরবানি না করে যদি কুরবানীর পশুর টাকা সদকা করে দেই তাহলে কি কোরবানি আদায় হবে? অথবা কোরবানি না করার গুনাহ হবে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর: কোরবানি শরীয়তের একটি স্বতন্ত্র হুকুম। এবং শিআরে ইসলাম তথা ইসলামের নিদর্শন এর অন্তর্ভুক্ত। তাই কোরবানিকে শরীয়তের হুকুম হিসেবে পালন করা আবশ্যক। ইসলাম মানেই আনুগত্য, যখনই আল্লাহর কোনো হুকুম আসে সেই হুকুম পালন করার নামই আনুগত্য। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোরবানির দিনগুলোতে আল্লাহর নিকট পশুর রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে অধিক পছন্দনীয় আমল আর নেই। সুনানে তিরমিজি হাদিস নং ১৪৯৩।
অন্যত্রে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর বিধান আসার পর থেকে প্রতি বছর কোরবানি করেছেন ।
সুনানে তিরমিজি; হাদিস: ১৫০৭।
অতএব যে ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে ওই ব্যক্তির জন্য কুরবানীর দিনগুলোতে কোরবানির পশু জবাই করলেই কেবল কুরবানীর হুকুম আদায় হবে। এর পরিবর্তে পশুর মূল্য সদকা করে দিলে কুরবানীর ওয়াজিব আদায় হবে না। বরং ওয়াজিব বিধান লংঘন করার গুনাহ হবে। সুতরাং করোনা ভাইরাসের কারণে কুরবানী না করে পশুর মূল্য সদকা করে দিলে কুরবানী আদায় হবে না।
অবশ্য এতটুকু করা যেতে পারে যে, যদি কোন অঞ্চলে পশু সংকট দেখা দেয়, উট, গরু, মহিষ এধরণের বড় একই পশুতে সাতজন শরিক হয়ে কুরবানি দিয়ে দিবে। অথবা যার উপর কুরবানী আবশ্যক হয়েছে তার পক্ষ থেকে এক বছর বয়সের একটি ছাগল দিয়ে কুরবানী আদায় করবে। অন্যথায় গুনাহগার হবে।
বাদায়েউস সানায়ে:- ( ومنها ) أن لا يقوم غيرها مقامها حتى لو تصدق بعين الشاة أو قيمتها في الوقت لا يجزيه عن الأضحية؛ لأن الوجوب تعلق بالإراقة والأصل أن الوجوب إذا تعلق بفعل معين أنه لايقوم غيره مقامه كما في الصلاة والصوم وغيرهما". (66/5 ط:سعید)
উত্তর প্রদানে
মুফতি মেরাজ তাহসিন
মুফতিঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম
আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া
-এটি