তানজিম ইসলাম: প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল চলছে। এ সময় গরম আবহাওয়া থেকে স্বস্তির পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকায় এই সময় পুষ্টিকর খাবার থাকা প্রয়োজন। এমন কিছু সবজি আছে যা এ সময় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যেমন-
পটল : পটলে থাকা অ্যান্টিপাইরেটিক জ্বর এবং সর্দি হ্রাস করতে সাহায্য করে। রক্তের শুদ্ধির জন্য পটল বেশ উপকারী। এটি রক্ত ও টিস্যু পরিষ্কার করে ত্বকের যত্ন নেয়। এই সবজিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সঠিক হজমে সহায়তা করে। পটলের বীচি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তাই পটল খাওয়ার সময় এর বীচি ফেলা ঠিক নয়। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, যার ফলে দেহের কোলেস্টেরল কমে যায়।
করলা : বৃষ্টি মৌসুমে পাওয়া তেঁতো করলা অন্ত্রের ভেতরে থাকা পরজীবী কৃমি ধ্বংসে অনেক কার্যকর। পাকস্থলী ও অন্ত্রের পরজীবীগুলোর সাধারণত এই বর্ষাকালেই বেশি বাড়ে। করলাতে থাকা ফাইবার, ভিটামিন-সি, ফোলেট এবং ভিটামিন-এ এসব সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এটি পেট, কোলন, ফুসফুস, এবং স্তন ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। করলা কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
কাকরোল : কাকরোল যকৃতের ক্ষতি, প্রদাহজনিত অসুস্থতা রোধ এবং জ্বর কমাতে সহায়তা করে। এর হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য অতিরিক্তভাবে ইনসুলিনের নিঃসরণ এবং সংবেদনশীলতা উভয় ক্ষেত্রে কার্যকর ভুমিকা রাখার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। কাকরোলের বীচিতে থাকা ফাইবার গ্যাস্ট্রিক আলসার, পাইলস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ভূমিকা রাখে।
ঢেঁড়শ : ঢেঁড়শ ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে এবং প্রোটিনে ভরপুর। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শক্তিশালী পলিফেনল প্রদাহ রোধ, হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।ঢেঁড়শ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ঢেঁড়শ রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
চিচিঙ্গা : চিচিঙ্গায় ফাইবার থাকায় এটি পেটে বেশিক্ষণ থেকে ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। এ কারণে এটি মেদ ঝরাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া ভারী খাবার গ্রহণের পরে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব এবং পেট-ব্যথা প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর এই ফাইবার।
-কেএল