আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন বৃহস্পতিবার দেশের অত্যন্ত ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট ছিল একেবারেই নিষ্প্রাণ। বেশিরভাগ ফেরি ছিল ঘাটে বাঁধা।
অনেকক্ষণ পরপর কিছু পণ্যবাহী গাড়ি একত্রে হলে সেগুলো নিয়ে ঘাট ছাড়ে একেকটি ফেরি। এছাড়া অনেক আগে থেকই বন্ধ রয়েছে রুটের লঞ্চ চলাচল।
দেখা গেছে, সদা কর্মচঞ্চল দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধের কারণে নেই তেমন কোনো লোকজন। দোকানপাট সব বন্ধ। তেমন একটা যানবাহন নেই। তবে জরুরি সেবার আওতায় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হলেও ছিল না কোনো যাত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন, নুরুল ইসলাম, বাবু মোল্লাসহ অনেকেই জানান, লকডাউনে ঘাটে গত কয়েকদিন প্রচুর লোকজনের সমাগম থাকলেও আজকের ঘাট একেবারেই ফাঁকা। আগের লকডাউন আর আজকের লকডাউনের চিত্র পুরোপুরিই ভিন্ন। সব হোটেল, দোকান পাট বন্ধ, নেই হকারদের হাঁকডাক। যেন ভূতুরে এক ঘাট।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। গত কয়েকদিন ঘাটে যাত্রীর চাপ থাকলেও আজকে ঘাট এলাকা একেবারেই ফাঁকা। তবে জরুরি পরিসেবায় নিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স ও কিছু পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার হচ্ছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, ঘাটসহ পুরো উপজেলা জুড়ে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সদা তৎপর রয়েছে। পুলিশের কঠোর নজরদারিতে সড়ক-মহাসড়কে অনুমোদনহীন যানবাহন ও যাত্রী নেই। রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী কিছু ট্রাক ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। অন্য কোনো যানবাহন বিনা কারণে মহাসড়কে চলাচল করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনটি