করোনাকালে কেমন কাটছে মাদরাসা মুহতামিমদের জীবন। শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারা, ছাত্রদের থেকে বেতন নিতে না পারা, এলাকাবাসীর থেকে পর্যাপ্ত কালেকশন না হওয়া-এতসব য ন্ত্রণার মাঝে কিভাবে কাটছে মাদরাসা মুহতামিমদের দিনকাল? এ বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করছে আওয়ার ইসলাম। এ বিষয়ে আজ মুখোমুখি হয়েছেন রাজধানীর জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুনীরুজ্জামান। তার সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের নিউজরুম এডিটর মোস্তফা ওয়াদুদ।।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকায় ছাত্র-শিক্ষকদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলোতে অধিকাংশই সাধারণত নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর লোকের সন্তানরা পড়াশোনা করে থাকে। আর মাদরাসা পড়ুয়া আলেমরা চাইলেই সাধারণের মতো রিকশা চালাতে পারেন না। কিংবা যে কোন কাজে তারা অংশ নিতে পারেন না। তাদের লেবাসের কারণে অনেক জায়গায়ই তারা যেতে পারেন না। বর্তমানে মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকায় মাদরাসা শিক্ষকরা মানবতার জীবনযাপন করছে।’
মাওলানা মুনীরুজ্জামান আরও বলেন, ‘করোনাকালেও আমি আমার মাদরাসার কোনো শিক্ষকের বেতন বাকি রাখিনি। চলতি বছরের ভর্তি থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে গত রমজান পর্যন্ত সব শিক্ষকের বেতন ক্লিয়ার করে দেয়া আছে। আরবি গত মাসের (শাওয়াল) কয়েকজন শিক্ষকের বেতন কিছুটা বাকি আছে। এছাড়া এ পর্যন্ত সকল শিক্ষকের বেতনই পরিশোধ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকলে আগামী মাসগুলোতে কিভাবে বেতন চালু রাখব এ নিয়ে বেশ টেনশনে আছি।’
মাদরাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে এ মুহতামিম বলেন, মাদ্রাসাগুলো খুলে দিলে রাষ্ট্রের মাঝে রহমত ও বরকত নাজিল হবে। কুরআন-হাদীসের চর্চা যত বাড়বে, তত দ্রুতই মহামারী থেকে মুক্তি লাভ করতে পারব আমরা।
তিনি বলেন, শুধু মাদরাসাগুলোই নয়, সাধারণ শিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও চালু করা জরুরি। কেননা শিক্ষিত জাতী অশিক্ষিত জাতি থেকে অনেক উত্তম। আর একটি সমাজ ব্যবস্থার জন্য কোরআনের শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। রাষ্ট্রের সর্বসাধারণকে নৈতিকভাবে পরিচালিত করতে হলে কোরআন শিক্ষা অত্যন্ত জরুরী।
এমডব্লিউ/