মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
হারদুঈ হযরত আল্লামা আবরারুল হক হক্কী রাহিমাহুল্লাহৱ তাআলা বলেন, এই সময় একটি মাসআলাও বলে দিই৷ যদি কোন ব্যক্তি তিলাওয়াত করতে থাকে৷ বা যিকির করতে থাকে৷ তিলাওয়াত, যিকির চাই মসজিদে করতে থাকুক চাই অন্য কোথাও৷ তখন যদি আযান শুরু হয়ে যায়, তাহলে সাথে সাথে তিলাওয়াত, যিকির বন্ধ করে দিবে৷ এবং আযানের উত্তর দিবে৷
আর যদি দীনি আলোচনা হতে থাকে৷ ওয়াজ হতে থাকে৷ নসিহত চলতে থাকে৷ দরস চলতে থাকে৷ তখন যদি আযান শুরু হয়ে যায়, তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দিয়ে আযানের উত্তর দেয়া জরুরি নয়৷
হ্যাঁ, যদি এসব বন্ধ করে দিয়ে আযানের উত্তর দেয়, তাহলে সেটিও নিষেধ নয়৷ তবে যদি আলোচনা শেষ হয়ে থাকে, তাহলে বন্ধ করে আযানের উত্তর দিতে হবে৷ আর যদি আলোচনা বাকী থাকে এবং পরে আর আলোচনা শেষ করার সুযোগ না থাকে৷ সময়ের স্বল্পতা থাকে, তাহলে আলোচনা চালু রাখতে পারবে৷ এবং আলোচনা শেষ করতে পারবে৷
হযরত বলেন, প্রত্যেক অবস্থার বিধান আলাদা আলাদা৷ অবস্থার পরিবর্তনে তার বিধানও পরিবর্তন হয়ে যায়৷ যেমন, একজন ডাক্তার রোগীকে জিজ্ঞেস করলো শরীরে জ্বরের পরিমান কতো৷ বলা হলো, সারে আটা নব্বই ডিগ্রী৷ উত্তর শুনে ডাক্তার সাহেব বললেন, আরে রোগী তো সুস্থ৷ এটি জ্বর নয়৷ বরং শরীরের তাপ৷
আর যদি বলা হয়, জ্বর নিরানব্বই বা একশো ডিগ্রী হয়ে গেছে, তখন ডাক্তার সাহেব বলেন, তাহলে তো রোগী জ্বরে আক্রান্ত৷ রুটি খাওয়া বন্ধ৷ গোশত খাওয়া বন্ধ৷ খানাপিনা সব বন্ধ৷ এখানে রোগীর ফর্মূলা দুই রকম হওয়ার কারণ কী? কারণ হলো, শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন৷ থারমো মিটারের পয়েন্ট ওঠানামা করার কারণে রোগীর অবস্থা ভিন্ন রকম হওয়াতে সাথে সাথে ডাক্তার সাহেবের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে গেছে৷ বিধান পরিবর্তন হয়ে গেছে৷ সুতরাং বুঝতে হবে, মানুষের শারিরীক অসুস্থতার অবস্থাভেদে যেমন চিকিৎসা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়, ইসলামের বিধানও ব্যক্তির অবস্থার প্রকারভেদে শরীয়তে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে৷ এই কথ বলার সুযোগ নেই যে, ইসলামে একই বিষয়ে বিধান ভিন্ন ভিন্ন আরোপ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে৷
-এটি