শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মেইল এস্কর্ট‍‍ বা পুরুষ পতিতা: সমাজ ধ্বংসের আরক ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোবারক ইবনে মনির।। শিরোনাম দেখে অবাক হবার কিছু নাই। হ্যাঁ, এটা পুরুষরাও হতে পারে। পুরাতন ঐতিহাসিক বইগুলোতে এর কিছু খন্ডচিত্রও রয়েছে। এটা নতুন কিছু না৷ সচেতনতার জন্যই বিষয়টা সামনে আনা। অধুনা পশ্চিমা বিশ্বে এটা এখন নারীদের মতোই সাধারণ বিষয়।

তবে এশিয়ায় এর প্রচলন নেই। তবে পশ্চাত্যের থেকে অন্য সবকিছু আমদানি হলেও এটা হবার নয় কেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নারীদের কাছে। এমনকি ঢাকার শহরেও এর পূর্ণ আভাস পাওয়া যাচ্ছে এখন।

কয়েকশো মেইল এস্কর্ট‍‍ গ্রুপ রয়েছে এই ঢাকার শহরে। হ্যা, এই শহরের নারীদের এখন পুরুষ ভাড়া করার প্রয়োজন হয়। কারণ তারা এখন স্বাবলম্বী। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে তারা সদা অবিচল। তাদের চাহিদা যোগাতেই এখন পুরুষ পতিতার প্রয়োজন হয়৷ পতিতা শব্দটা নিয়ে বাংলাদেশী একজন লেখিকা খুব বিরোধীতা করেন।

বলা যায় একরকম জোর করেই৷ পতিতার পুরুষবাচক শব্দ পতিত আবিষ্কার করেন। এবং এটাকে অভিধানভুক্ত করার জন্য জোরাজোরিও করেন। সে হিশেবে করে পতিতই ব্যাবহার করা যায়। সমাজের নিম্নতর পেশা দেহবৃত্তি। সেটা নারী হোক বা পুরুষ হোক সবার জন্যই ঘৃণিত।

মেইল এস্কর্ট‍‍ নামেই এরা বেশি পরিচিত। রাজধানীতেই এদের চাহিদা। এদের অধিকাংশই শিক্ষিত ছেলে। কারণটা হলো সমাজের উচ্চবিত্ত নারীরাই এদেরকে ভাড়া করে থাকে। আর তাদের সাথে দীর্ঘ দিন কাটানোর জন্য শিক্ষিত হওয়া আবশ্যক।

এমনটাই দেখা যায় বাংলাদেশের মেইল এস্কর্ট‍‍ দ্বারা পরিচালিত কিছু ওয়েবসাইটে। যেখানে দরদাম, লেনদেন ও পুরুষের অদ্যপান্ত বৃত্তান্ত দেওয়া আছে। আর অধিকাংশ ছেলেরা পার্টটাইম জব হিশেবে এটাকে বেছে নিচ্ছে। অর্থ ও শান্তি দুটোই আছে এখানে। এসব ছেলেদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছেই।

অনলাইনেই এদেরকে খুঁজে নেন নারীরা। তবে শহরের আভিজাত্য এলাকার বিভিন্ন স্থানে এসব ছেলেদের দু একটা দেখা যায়। চেনার কোন উপায় নাই। যদি না কেউ ওই জগতের লোক না হয়ে থাকেন বা তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত না জানেন। এদের সাংকেতিক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করে রুমাল। সেটা দেখেই নারীরা খুঁজে নেন তাদেরকে পসন্দের পার্টনার।

ও আরেকটা বিষয়—বাংলাদেশে মেল স্কার্ট নিয়ে কয়েকটা শর্ট ফ্লিমও করা হয়ে গেছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টা।

সমাজের উচ্চবিত্ত ডিভোর্সী বিধবা নারীরাই এদেরকে শয্যাসঙ্গী করে থাকে। এর একটা কারণ বাংলাদেশে দৈনিক শতশত বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে। আর অধিকাংশ নারীদের পক্ষ থেকেই। আর এদের অধিকাংশই শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী। এরা নিসঃঙ্গতার মুক্তির জন্য পুরুষ খুঁজে থাকেন। এসব নারীদের সংখ্যা যত বাড়ছে মেইল এস্কর্ট‍‍ সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৈবাহিক জীবনের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেলে একটা সমাজ ধ্বংস হতে সময় নেবে না। একটা সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে একটা সভ্যতা সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এটা আমাদের সকলের জানা৷ মানবজীবনে দাম্পত্য বন্ধন অপরিসীম। পরিবার একজন মানুষের পরিচয়, ভিত্তি। জৈবিক চাহিদার উপর ভিত্তি করেই একটা পরিবার গঠিত হয়৷ সুস্থ সুন্দর সমাজ পরিবারের উপর নির্ভর করে। আর পরিবার প্রথা ধ্বংস হয়ে গেলে সমাজও ধ্বংস হয়ে যায়।

আর পতিতাবৃত্তি তৈরি করে পারিবারিক জীবনর প্রতি অনীহা। এসব নারী পুরুষ আর কখনো সংসারী হয়ে ওঠে না। ফলে সমাজ অধঃপতনের দিকে ধাবিত হয়। ধীরে ধীরে একটা দেশ রাষ্ট্র সমাজ হুমকির মুখে নিপতিত হয়। তারপর বিলুপ্তির পথ ধরে।

লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ মোহাম্মদপুর, ঢাকা, ১২০৭।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ