আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঢাকার মগবাজারে ভয়াল বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সাতজনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- তরুণ আলেম মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), প্রাইভেটকারচালক স্বপন (৩৯), বাসচালক আবুল কাশেম মোল্লা (৪৫), বেসরকারি চাকরিজীবী রুহুল আমিন (৩০), শর্মা হাউজ রেস্তোরাঁর পাচক ওসমান গনি তুষার (৩৫), গৃহিণী জান্নাত (২৩) ও তার নয় মাসের মেয়ে সোবহানা।
ঘটনার পরদিন সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।
রমনা থানার এসআই মহসিন সর্দার জানান, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, স্বপন, কাশেম মোল্লা ও রুহুল আমিনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। জান্নাত ও তার মেয়ের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট এলাকায় ৭৯ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডের পুরনো তিনতলা ভবনটি এখন এক ধ্বংসস্তুপ। রোববার সন্ধ্যায় বিকট বিস্ফোরণে ভবনটি ধসে কমপক্ষে সাতজন নিহত হন।
রোববার সন্ধ্যার পর মগবাজার ওয়্যারলেস গেইটে মৌচাক সড়কের পাশের ভয়াবহ এক বিস্ফোরণ তিনতলা একটি ভবন আংশিক ধসে পড়ে। ভবনের বিভিন্ন অংশ সড়কেও এসে পড়লে চুরমার হয়ে যায় দুটি বাস।
বিকট কম্পনে আশপাশের বিভিন্ন ভবনের কাচ ভেঙে চৌচির হয়ে পড়ে সড়কে।
তিনতলা ওই ভবনের নিচতলা শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের দোকান ছিল। এর উপরে ছিল সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র।
ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, ওই ভবনের কোথাও গ্যাস জমেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
সোমবার সেখানে পরীক্ষা চালিয়ে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানালেও কোন স্থান থেকে কেন বিস্ফোরণ ঘটল, তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এনটি