আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: টানা বর্ষণ ও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধে হঠাৎ করে ধস দেখা দিয়েছে। এতে শহরবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় হঠাৎ করে ধস দেখা দেয়। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার ১১০মিটার সিসি ব্লক ও মাটি ধসে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধস অব্যাহত থাকায় শহরবাসীর মধ্যে চরম ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে ধস ঠেকানোর জন্য বালুভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন জানান, দুপুর থেকে হঠাৎ করেই শহর রক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট অংশে ধস দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ১১০ মিটার এলাকা যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় এর পরিধি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষণ ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় ওই এলাকায় তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে এ ধস দেখা দিয়েছে। সোমবারও আমরা এখানে ভালো অবস্থা দেখেছি। আজ হঠাৎ করেই ধস দেখা দিয়েছে। ধস ঠেকাতে বালুভর্তি জিওটেক্সব্যাগ ডাম্পিং শুরু করা হয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যেই ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।
খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মেদ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হোসেন আলী হাসানসহ অন্যান্য নেতা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর প্রাঙ্গণ থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০০১ সালে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বাঁধটি নির্মাণ করে। ফলে সিরাজগঞ্জ শহর যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই এর বিভিন্ন অংশে ধস দেখা দেয়।
এনটি