আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সময় নষ্ট করার প্রবণতা অপেক্ষাকৃত মহিলাদের মাঝেই বেশী লক্ষ্য করা যায়। যে কাজ এক মিনিটে সম্পন্ন করতে পারবে তাতে এক ঘন্টা ব্যয় করে ফেলে।
আর যখন পরস্পরে আলাপ-আলােচনা শুরু করে। তখন তাে আর কথাই থাকে না। আর এতে যে কত গীবত, মিথ্যা ও উপহাস মূলক কথা সংগঠিত হয় তার কোন ইয়ত্তা নেই।
তাই তাদেরকে এ ব্যাপারে অধিক সতর্ক হওয়া উচিৎ। কারণ, এভাবে চলতে থাকলে একদিন দেখা যাবে খালি হাতেই তাদেরকে পরপারে যাত্রা করতে হবে। আর পাথেয়হীন সফর যে কত দুঃসহ তা ভুক্তভােগী ছাড়া। কেউই উপলব্ধি করতে পারে না।
নবী পত্নী ও তাদের কন্যাগণও তাে মহিলা ছিলেন। কিন্তু তারা তাে বর্তমান যুগের নারীদের মত গল্প-গুজবে সময় কাটিয়ে রিক্ত হস্তে গাের যাত্রার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি। তাই তারা দুনিয়ায় থেকেও জান্নাতের সার্টিফিকেটে ধন্য। আজকের মহিলা সমাজকেও সে পথ অনুসরণ করতে হবে। তবেই তারা হবেন সফল কাম?
প্রতিশােধ নিতে গিয়ে কেন সময় নষ্ট করবাে?
আল্লাহর ওলিদের সম্পর্কে জানতে এক ব্যক্তির কৌতূহল সৃষ্টি হল। এই অদম্য কৌতূহল নিয়ে সে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ল। পথিমধ্যে এক বুযুর্গের সাথে তার সাক্ষাৎ হল। তার নিকট সে নিজের উদ্দেশ্য খুলে বলল।
সে বুযুর্গ তাকে বলল, তুমি অমুক মসৃজিদে যাও সেখানে দেখবে তিনজন বুযুর্গ জিকিরে লিপ্ত আছেন। তুমি পেছন দিক থেকে গিয়ে প্রত্যেককে এক একটি করে আঘাত করবে। সে ব্যক্তি এ বুযুর্গের পরামর্শানুযায়ী মসজিদে গেল। সেখানে সত্যিই তিন জনকে যিকিররত পেল। সে পেছন দিক দিয়ে গিয়ে এক জনকে (হাল্কা) একটা আঘাত করল।
কিন্তু আঘাত প্রাপ্ত হয়ে তিনি একটু পেছনে ফিরেও তাকালেন না। যিকিরই করে যাচ্ছে। এই লােকটি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল যে, কোন প্রতিবাদ আসে কি না। কিন্তু না, তিনি আপন মনে যিকির করেই যাচ্ছেন। তখন লােকটির ভাবান্তর হল এবং কৌতুহল আরও বেড়ে গেল যে, এ কেমন কথা যে, একটু তাকালও না!
পরে তার ভাবনার অন্ধকার কেটে গেল যে, হ্যাঁ, হয়ত এই বুযুর্গ ভাবছেন যে, যে সময়ে আমি পেছনে তাকিয়ে আঘাতকারীকে দেখব এবং প্রতিশােধ নেব, সে সময়ে আমি বহু বার আল্লাহকে স্মরণ করতে পারবাে। আর এতে আমার যে উপকার হবে, বদলা নিলে তা কখনও হবেনা। সূত্র: ওয়াক্ত কি কদর করে
-এটি