আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বড়ভাই ওবায়দুল কাদেরকে স্ত্রীসহ মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাকে শেষ করে দিচ্ছেন। শনিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে কাদের মির্জা বলেন, ‘কী করবেন আমাকে? জেল দেবেন, দেন। অভ্যাস আছে। আমনেও রেডি অন, সময় মত যাইবেন। আমনে আমারে ঢুকাবেন, আমনে বুঝি বাঁচি যাইবেন। আঁরে মারি আলাইবেন। আমি রেডি করি যামু। কারে রেডি করি যামু বলতে পারবো না। তিনজনের নাম বলেছি। আমাকে মারলে, তিনজনকে মেরে ফেলবি। আপনে, আপনার বউ আর একরাম। তিনটা মারি ফেলবি। জেলে দেক, আমাদের হত্যা করবে বলে হুমকি দিছে বলে আর বিরুদ্ধে মামলা করুক, করবে জানি।’
ওবায়দুল কাদেরকে ঘরের শত্রু বিভীষণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে ঘরের শক্র আমাকে শেষ করে দিচ্ছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আজকে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। কি জন্য নিয়েছেন, সেটাও খুঁজে পেয়েছি। আমি ওনার এবং ওনার স্ত্রীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথাগুলো বলবো- এতো ন্যক্কারজনক, এতো ছোট মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি, আমার পরিবারে আমার আত্মীয় স্বজন ইতোমধ্যে সবাইকে অর্থ দিয়ে মন্ত্রীত্বের প্রভাব খাটিয়ে আমার বিপক্ষে নিয়েছে।’
মির্জা কাদের বলেন, ‘আপনি যেমন বাইরে কারো সহযোগিতায় এখানে রাজনীতি করেন। আমরাও পিছিয়ে নেই। স্পষ্ট ভাষায় বলে দিচ্ছি। চোখ রাঙাবেন না, মুখ সামলান, যা ইচ্ছা তা করবেন হতে পারে না। একরামকে নিজামকে নোয়াখালী ফেনীর রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার নানা কি শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন? আমার আব্বা কি রাজাকার ছিলেন। আপনি ডোন্ট মাইন্ড ফ্যামিলির ছেলে। আপনি মেনে নিতে পারেন। আমি মেনে নিতে পারি না। আমি যদি বেঁচে থাকি, এর প্রতিশোধ আমি নেব। আপনি পারবেন না। একরাম আজকে বলে আমি ওবায়দুল কাদেরকে মাসোহারা দিই। নিশ্চয় কোথাও আপনার দুর্বলতা আছে।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘সাতবার আমাকে মারার পরিকল্পনা করেছে। আপনার কাছে কোনো বিচার পাই নাই। আমি প্রশাসনকে বলছি, তারা টাকা পয়সা খাইয়ে সরে গেছে। এটাতো আমি বুঝি, আপনি আমাকে মারতে চান আপনার স্ত্রীকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, এটা স্পষ্ট। আমনে মারি পালাইলে মারি পালান। আমি আপনার স্ত্রীর ভোট করতে পারবো না।’
তিনি বলেন, ‘আমিও আর কখনো ভোটেও দাঁড়াবো না। আমি কোন ভোটে দল থেকে নমিনেশন চাইলে জিহ্বা কেটে দিবেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব ৬-৭ জন ছাড়া এরাকি আমার বিরুদ্ধে যায়। সব আপনি নিছেন। আমার কাছে প্রমাণ আছে। আমি একটা একটা করে প্রমাণ করে দেব। না করতে পারলে হিজরত করুম।’
বড় ভাইয়ের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনার বিরুদ্ধে এমনে বলতেছি না। ভাই ভাইয়ের বিরুদ্ধে কখন বলে, যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন বলে। এর আগে বলার সুযোগ থাকে না। আপনাকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি, আপনার স্ত্রীর কারণে। কোথায় যান দেখবেন। এখানে মওদুদের শোকসভা বন্ধ করে দিন, আপনার শোকসভায় কোনো লোক আসবে না, এটা দেখবেন। আপনিতো মারা গেলে দেখবেন না। আপনার স্ত্রী ও আপনার লোকজন দেখবে।’
-কেএল