শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

বাগানে ফল আসার পূর্বে কেনাবেচা করার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: বর্তমান সময়ে দেখা যায়, অনেকেই বাগানে ফল আসার পূর্বেই বাগান বিক্রি করে দেয়। কেউ কেউ এক বছরের জন্য কিংবা দুই বছর, তিন বছরের জন্য বাগান বিক্রি করে দেয়। এ জাতীয় বাগান বিক্রি করা কি জায়েজ? দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এমন একটি প্রশ্ন করেন জনৈক ব্যক্তি।

তিনি প্রশ্নে উল্লেখ করেন, যায়েদের ১০ বিঘা জমি রয়েছে গ্রামে। কিন্তু জায়েদ থাকে শহরে। আর শহরেই তিনি তার কাজে ব্যস্ত থাকেন। এজন্য গ্রামের বাগানের খোঁজখবর নেয়ার মতো সময় তার কাছে নেই। কোন বিশেষ লোকের মাধ্যমে বাগানের দেখভাল করবে তারও সুযোগ নেই। এ অবস্থায় যায়েদ তার বাগানকে দুই বছরের জন্য বিক্রি করে দেয়। দুই বছর পর মূল্য পরিশোধ করলে আবার দুই বছরের জন্য বিক্রি করে দেয়।

প্রশ্ন হল, এই জাতীয় কেনাবেচা করা কি শরীয়াত সম্মত? দ্বিতীয় প্রশ্ন, এ ধরনের না জানা বস্তুর উপর ভিত্তি করে আসা ফল সাধারণ মানুষের জন্য কেনার হুকুম কি? তৃতীয় প্রশ্ন, ওই বাগানের উপর কি যাকাত ওয়াজিব হবে? যদি হয় তাহলে কিভাবে?

দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, উল্লিখিত বাগান বেচার পদ্ধতি এটি মূলত বাগানের ফল বিক্রির সাথে সম্পৃক্ত। বর্ণিত মাসআলায় দেখা যায়, বাগানের মাঝে এখনো ফল আসেনি। এই কারণে না জানা জিনিস বিক্রি করা না জায়েজ। বেচা কেনার সময় বিক্রিত পণ্য উপস্থিত থাকা আবশ্যক। আর এখানে ফল উপস্থিত নেই। সুতরাং এ ধরনের কেনাবেচা করা না জায়েজ। যদি কেউ এই ধরনের কেনাবেচা করে থাকে; তাহলে যেন সেটি শেষ করে দেয়।

দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব হলো, শরীয়তে অনুপস্থিত জিনিসের কেনাবেচা করা বাতিল। এধরনের কেনা বেচা যারা করে তাদের জন্য আবশ্যক হলো, ক্রেতাকে তার বিক্রিত মূল্য ফেরত দিয়ে দেওয়া। মূল্যে নিজের হাতে আসার পরও বিক্রেতা তার মালিক হয়নি।

এ কারণে যদি কারো বিষয়টা জানা যায় যে, সে উল্লেখিত বাতিল ফল কেনাবেচা করেছে। তাহলে এমন ক্রেতা থেকে ফল খরিদ করা জায়েয নেই।

তৃতীয় প্রশ্নের জবাব হলো, বাগানের উপর যাকাত আসবে না। বরং বাগানের উপর উশর অথবা নিচফে উশর ওয়াজিব। যদি বাগানটি উশরি জমিনের উপর হয়, তাহলে উশর প্রদান করা বাগানের মালিকের জন্য ওয়াজিব। কেননা ফলের আসল মালিক তিনিই। আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ