নুরুদ্দীন তাসলিম।।
বরিশালের সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়ন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মনোনীত চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী। কেন্দ্র-ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ২৩৯৬ ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি।
বিশাল ব্যবধানে জয়ী চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেটিজেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতারা। ইসলাম ও মানবতার সেবায় তিনি নিজেকে নিয়োজিত করবেন এই প্রত্যাশা করছেন সবাই।
৩৫ বছর বয়সী তরুণ উদীয়মান রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী বেড়ে উঠেছেন নদীমাতৃক জেলা বরিশালের আলো-বাতাসে। নিজ গ্রামেই তার পড়াশোনার হাতেখড়ি। এরপর বরিশালের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ মাদ্রাসায় কাটিয়েছেন শিক্ষা জীবনের দীর্ঘ একটা সময়। ২০০৬ সালে দারুল উলূম মাদানীনগর মাদ্রাসা থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে দাওরা হাদিস পাস করেছেন। ঢাকা আলিয়া থেকেও নিয়েছেন কামিল পাশের সার্টিফিকেট। বর্তমানে তিনি ইসলামী একাডেমী ঢাকার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে দিতে ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমেও দ্বীনের খেদমত করছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ও দায়ী আলেম মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী।
মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ আজাদী ছোটবেলা থেকেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে সক্রিয়। ছাত্রজীবনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয় তার রাজনৈতিক জীবনের পথ চলা। এরপর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে বর্তমানে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হন।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বরিশাল মহানগর সেক্রেটারী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা আবু আব্দুল্লাহ মাহমুদী আওয়ার ইসলামকে বলেন, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ আজাদী এতোদিন সুললিত তেলাওয়াত ও কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান সম্পর্কে সচেতন করে এসেছেন। কোরআন-হাদিস ও দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুরুব্বিদের নির্দেশনায় চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নির্বাচনে এলাকার মানুষদের ব্যাপক জনসমর্থনও পেয়েছেন।
মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ আজাদী গত সেপ্টেম্বর থেকে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন। তবে এর আগে থেকেই তিনি সুখে-দুখে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রোগে শোকে এলাকাবাসীর কাঁধে হাত দিয়ে তাদের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে নিজের মনে করে শান্ত্বনা দিয়েছেন।
-কেএল