মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী।।
ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, সমাজকে তাড়িত করে। ইতিহাসে সব ঘটনা স্থান পায় না। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়- যা কিছু ভালো, যা কিছু মানব সভ্যতার জন্য আশীর্বাদ। ইতিহাসের এই ধরাবাধা নিয়ম মেনেই আমাদের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.।
আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.। তিনি গায়ক। তিনি সুর সম্রাট। তাঁর গান একটা প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামি সঙ্গীতের এই কারিগরের গানের কথা ও সুর আচ্ছন্ন করেছে এ প্রজন্মকেও।
আমার মাঝে মধ্যেই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের এই বাংলায় কবি মতিউর রহমান মল্লিকের সময়কালে সবচেয়ে ভাগ্যবান ইসলামী সংগীতের সাধক ছিলেন আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.।
আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ. নিছক একটি নাম নয়। আইনুদ্দীন আল আজাদ একটি চেতনা। একটি জাগরণের নাম। তাঁর প্রতিটি গান ও সুর পুরোটা জুড়েই ছিলো ইসলামি জাগরণ।
১৮ জুন, ২০১০। আজকের মতো সেদিনও ছিলো শুক্রবার। আমরা হারিয়ে ফেললাম আমাদের জাগরণকে। আমাদের চেতনাকে। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেলো সেই প্রিয় মানুষটির না থাকা ১১ বছর। মহান রবের দরবারে আমাদের চেতনার বাতিঘরের আ’লা মাকামের আর্জি করছি।
লেখকঃ আলেম, প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক
এমডব্লিউ/