আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুসলিম ব্রাদারহুডের ১২ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে মিসরের সর্বোচ্চ বেসামরিক আদালত। সোমবার এই রায়ের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের বিচার শেষ হয়েছে।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাবেন না দণ্ডপ্রাপ্তরা। ফলে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি অনুমোদন দিলে দণ্ড কার্যকর করা যাবে। খবর আল জাজিরার।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দলটির শীর্ষ ধর্মীয় স্কলার আব্দুল রহমান আল বার, দেশটির পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আল বেলতাগি এবং সাবেক মন্ত্রী ওসামা ইয়াসিন।
২০১১ সালে গণঅভ্যুত্থানে হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসি। ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
২০১৩ সালের জুলাইয়ে মুরসির পতনের পর তাকে পুনর্বহালের দাবিতে কায়রোর রাবা আল আদায়িয়া স্কয়ারে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে হাজার হাজার মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থক। পরের মাসে নিরাপত্তা বাহিনী ওই স্কয়ারে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে একদিনে নিহত হয় প্রায় আট শতাধিক মানুষ। ওই সময়ে কর্তৃপক্ষ দাবি করে বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র ছিলো। আর সন্ত্রাসবাদ দমনের স্বার্থে অভিযান চালানো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সংঘটিত বিক্ষোভের পেছনে হাত থাকার দায়ে ব্রাদারহুডের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মিসরের সিসি সরকার ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
সোমবার দণ্ডপ্রাপ্ত মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যরা ‘পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্র-গোলাবারুদ এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম রাখা এবং অপরাধী চক্রকে অস্ত্র সরবরাহে’ অভিযুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও ‘তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা, কর্তৃপক্ষকে বাধা দেওয়া এবং সরকারি সম্পত্তি দখল এবং ধ্বংসের’ অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।
মুসলিম ব্রাদারহুডের ১২ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হলেও আরও ৩১ জনের কারাদণ্ড কমিয়েছে আদালত।
এনটি