আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশ্বের সর্বত্র এখন কেবল বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। জোর কদমে চলছে করোনার বিরুদ্ধে টীকাকরণ অভিযান। কয়েক কোটি মানুষ ইতিমধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এখনও প্রতিদিন লাইন দিয়ে করোনার ভ্যাকসিন নিচ্ছেন বহু মানুষ। করোনভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকলেরই টিকা নেয়ার প্রয়োজন। তবে, বয়স্কদের প্রথমেই টিকা দিতে বলা হয়। কারণ, প্রবীণদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তরুণদের তুলনায় অনেক কম।
সকলেই জানেন, ভ্যাকসিন আজীবন কোভিড-১৯ এড়ানোর গ্যারান্টি দেয় না, তবে কিছু সময়ের জন্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়।
আজকাল মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, টিকা নেয়ার পর কতদিন শরীরে এর প্রভাব থাকবে? অথবা যিনি টিকা নিয়েছেন, তার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কত দিন পর্যন্ত থাকবে? সম্প্রতি, কিছু বিজ্ঞানী এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। যেখানে জানা গেছে টিকা নিলে মানুষের শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সমস্ত লোকেরা করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন ডোজ নেয়ার পর কোভিড-১৯ এর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করে। অতএব, এই ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ শরীরে অনাক্রম্যতা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বলে তারা মনে করেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার ভ্যাকসিনগুলি সংক্রমণ প্রতিরোধে ৮০% পর্যন্ত কার্যকর। এর পর যখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয় তখন এর প্রভাব ৯০% হয়ে যায়। একই সময়ে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ডের উপরও গবেষণা করা হয়। সেখানে দেখা যায় যাদের কোভিশিল্ড দেয়া হয়েছে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা ৯০% পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, ছয় মাস পর্যন্ত মারণ ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে এই ভ্যাকসিন।
আবার কিছু ভ্যাকসিনের প্রভাব ছয় মাস থেকে এক বছর ধরে স্থায়ী হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। CDC-র ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য টিকা ১০০% পর্যন্ত কার্যকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
-কেএল