আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ১৫ দিনে পাঁচ হাজার জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর।
মঙ্গলবার ভাসানচর ২০ শয্যার হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীর আনোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০ শয্যার হাসপাতালে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ভর্তি থাকে। শয্যার অভাবে হাসপাতালের মেঝে, বারান্দায় রোগীদের রেখে চিকিৎসা চলছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ডায়রিয়া নিয়ে আসছেন। ১৫ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
ডা. তানভীর আনোয়ার আরও বলেন, ডায়রিয়ার রোগীদের চিকিৎসায় এখানে আলাদা কোন শয্যা কিংবা ওয়ার্ড নেই। অন্য রোগী ভর্তি না করে শুধু ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে স্যালাইন ও ওষুধের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। নদী উত্তাল থাকায় ওষুধের চালান ভাসানচরে আসতে দেরি হওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলছেন তীব্র গরমের পর বৃষ্টি ও রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পানিবাহিত রোগটি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে।
ওষুধ সংকটের কথা নাকচ করে তিনি বলেন, ওষুধের কোন সংকট নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন গত তিন দিন হাতিয়ার জনতা ঘাটে গিয়ে ফিরে এসেছেন। মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় তারা ওষুধ নিয়ে ভাসানচরে যেতে পারছেন না। আবহাওয়া ভালো হলে পর্যাপ্ত ওষুধ ভাসানচর হাসপাতালে পৌঁছে যাবে।
এনটি